কুমিল্লায় ১৩ বছরের এক কিশোরীকে কসমেটিকস দোকানের ভেতরে কয়েকবার ধর্ষণের দায়ে মো. আলাউদ্দিন নামের ৫২ বছর বয়সী এক ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই অপরাধে তাকে দুই লাখ টাকা অর্থদণ্ডও দেওয়া হয়েছে। অর্থদণ্ডের টাকা না দিলে তার সম্পত্তি ক্রোক করে তা আদায় করার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (১১ জুন) দুপুরে কুমিল্লার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক আব্দুল্লাহ আল মামুন এ রায় দেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত মো. আলাউদ্দিন বরিশাল সদর উপজেলার কুন্ডুলিপাড়া এলাকার মৃত আক্কাস আলীর ছেলে।
কুমিল্লার স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট প্রদীপ কুমার দত্ত বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলার বরাত দিয়ে প্রদীপ কুমার দত্ত জানান, ধর্ষক আলাউদ্দিন বরিশালের বাসিন্দা হলেও তিনি বেশ কয়েক বছর ধরে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার আটগ্রাম এলাকায় জমি কিনে স্থায়ীভাবে বসবাস করে আসছেন। ভিকটিম কিশোরী আর ধর্ষক আলাউদ্দিন বর্তমান ঠিকানা মূলে প্রতিবেশী। আলাউদ্দিন বাড়ির পাশে একতলা একটি ভবন করে তাতে কসমেটিকস ব্যবসা করতেন। ২০২০ সালের ১৮ জুলাই ভিকটিম ওই কিশোরী তার ছোটবোনকে নিয়ে কসমেটিকস কিনতে যায় আলাউদ্দিনের দোকানে। এসময় আলাউদ্দিন ভিকটিম কিশোরীর ছোট বোনকে একটি চুলের কাঁকড়া দিয়ে তাকে চলে যেতে বলেন। পরে সে চলে গেলে দোকানের সাটার ফেলে দিয়ে ওই কিশোরীকে ভয়ভীতি দেখিয়ে কয়েকবার ধর্ষণ করেন। কিছুদিন পর ওই কিশোরীর গর্ভে সন্তান চলে আসে। পরে ওই কিশোরী তার পরিবারকে ঘটনার বিস্তারিত জানালে ওই কিশোরী বাদী হয়ে চৌদ্দগ্রাম থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় ধর্ষক আলাউদ্দিনকে মঙ্গলবার যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং দুই লাখ টাকা অর্থদণ্ড দেন। টাকা না দিলে ধর্ষক আলাউদ্দিনের সম্পত্তি ক্রোক করে তা নিলামে বিক্রি করে ভিকটিমের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার জন্য বলা হয় রায়ে।
রায় ঘোষণার সময় আসামি আলাউদ্দিন কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন।