মুন্সিগঞ্জের লৌহজংয়ে পুত্রবধূর বিরুদ্ধে শাশুড়ি হোসনেয়ারা বেগমকে (৪৫) পানিতে ডুবিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত বধূকে আটক করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) ভোরে উপজেলার বৌলতলী ইউনিয়নের সুরপাড়া এলাকার বসত বাড়ির পুকুর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহত হোসনেয়ারা একই এলাকার বাবুল শেখের স্ত্রী। এর আগে, বুধবার (১৩ জুন) রাতে এই ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত গৃহবধূ লিমা আক্তারের (২৪) স্বামী প্রবাসী আরিফ হোসেন অভিযোগ করে বলেন, আমার স্ত্রী পরকীয়া সম্পর্কে জড়িত। একাধিকবার তাকে বাধা-নিষেধ করেও প্রতিকার পাইনি। এ নিয়ে আমার মায়ের সঙ্গে তার প্রায় ঝগড়া হতো। বুধবার রাতে এসব বিষয় নিয়ে তাদের মধ্যে মারামারি হয়।
নিহতের স্বামী বাবুল শেখ বলেন, বুধবার রাতে পুত্রবধূ লিমা আমার ছেলে আরিফের ঘরে ঘুমাতে যায়। আমি আমার মত কাজে চলে যাই। রাতে আমি বাড়িতে ছিলাম না। রাত ১টার দিকে প্রতিবেশী আত্মীয়-স্বজনদের কাছে খবর পাই বউ-শাশুড়ির মধ্যে ঝগড়া ও ধস্তাধস্তি হয়েছে এবং তারা পুকুরে পড়ে গিয়েছে। এ সময় পুত্রবধূ উঠতে পারলেও ডুবে যায় আমার স্ত্রী।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পারিবারিক বিষয় নিয়ে পুত্রবধূ লিমা আক্তারের সঙ্গে শাশুড়ি হোসনেয়ারার কলহ চলছিল। বুধবার রাত ১০ টার দিকে রাতের খাবার শেষে ছেলের বউ লিমা ঘরে ঘুমাতে যায়। পরে রাত ১২টার দিকে কলহের জেরে বউ-শাশুড়ি ঝগড়ায় লিপ্ত হয়। একপর্যায়ে দুজনই মারামারি করেন। ধস্তাধস্তিতে বসতঘরের বেড়া ভেঙে তারা পুকুরে পড়ে যান। এসময় বউ লিমা পুকুর থেকে উপরে উঠতে পারলেও ডুবে যায় তার শাশুড়ি। পরে লৌহজং ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিলে রাত ৩টার দিকে মৃত অবস্থায় হোসনেয়ারার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
ঘটনা সত্যতা নিশ্চিত করেছেন লৌহজং থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খন্দকার ইমাম হোসেন। তিনি বলেন, এ ঘটনায় অভিযুক্ত পুত্রবধূকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। আইনগত প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ নিহতের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।