ফিলিস্তিনি যোদ্ধা ও লেবাননের প্রতিরোধ যোদ্ধাদের হামলার মুখে ঘরবাড়ি ছাড়ছেন হাজারো ইসরায়েলি। এদের অধিকাংশই ইসরায়েলের সীমান্তবর্তী এলাকার বাসিন্দা ছিলেন।
জীবন বাঁচাতে এখন গ্রিসে যাচ্ছেন এসব বাসিন্দা এবং সেখানে স্থায়ীভাবে বসবাসের বন্দোবস্ত করছেন, যা স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভ ও উদ্বেগের জন্ম দিয়েছে বলে জানিয়েছে হিব্রু ভাষার সংবাদমাধ্যম ডি মার্কার।
বার্তা সংস্থা তাসনিমের হিব্রু বিভাগের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হাজারো ইসরায়েলি পরিবার এখন গ্রিসকে তাদের অস্থায়ী বা স্থায়ী আশ্রয় হিসেবে বেছে নিয়েছে। আর এ ব্যাপক সংখ্যক ইসরায়েলির গ্রিসে পাড়ি জমানোর কারণে সেখানে অ্যাপার্টমেন্ট কেনার চাহিদা বেড়েছে।
সম্প্রতি গ্রিসের ইভা দ্বীপের এক রিয়েল এস্টেট এজেন্সির মালিকের সাক্ষাৎকার নিয়েছিলেন দৈনিক ‘ডি মার্কার’ পত্রিকার প্রতিবেদক ডর রউফম্যান। ওই সাক্ষাৎকারে রিয়েল এস্টেট এজেন্সির মালিক বলেন, ইহুদি অভিবাসনের ঢেউ রাজধানী এথেন্সের দিকে। বর্তমানে এথেন্সের উত্তরে শত শত ইসরায়েলি পরিবার পাওয়া যাবে, যারা নিজেদের জন্য এরই মধ্যে একটি কিন্ডারগার্টেন এবং একটি ইহুদি স্কুল তৈরি করেছে।
ওই প্রতিবেদনের আরেকটি অংশে বলা হয়েছে, এখানে আসা ইহুদিদের ইসরায়েলে ফিরে যাওয়ার কোনো ইচ্ছা নেই এবং তারা এখানেই থাকতে এসেছেন। এথেন্সে বসবাসকারী এক ইসরায়েলি এবং গ্রিসে ইসরায়েলিদের একটি সামাজিক যোগাযোগ নেটওয়ার্কের ম্যানেজার তানিয়া ক্রোটেক্সি এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘আমি ইসরায়েলে ফিরে যাওয়ার কোনো সম্ভাবনা দেখতে পাচ্ছি না’।
তানিয়া ক্রোটেক্সি বলেন, ‘আমি যখন এখানে এসেছি, তখন ইসরায়েলিদের সংখ্যা ছিল মাত্র ৫০। কিন্তু গাজা যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর এ সংখ্যা পাঁচ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। তবে প্রকৃত সংখ্যা আরও বেশি বলে মনে করেন তিনি।
এদিকে এ নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভও দেখা গেছে। এসব বিষয় নিয়ে ইসরায়েলি সাংবাদিক ডর রউফম্যান বলেন, যখন আমি এথেন্সের একটি ক্যাফের গ্রিক মালিককে তার ইসরায়েলি বন্ধুদের সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করি, তখন তিনি আমাকে বলেছিলেন, ‘আমি মনে করি এখন সময় এসেছে তোমরা ইসরায়েলিরা আমাদের দেশ ছেড়ে সম্পত্তি কেনার জন্য অন্য কোনো দেশে চলে যাও। তোমাদের জন্য অন্য কোথাও অভিবাসন করাই ভালো, গ্রিসে নয়।’