32 C
Dhaka
Tuesday, October 22, 2024

এবার আ.লীগ নেতা বাবুর দায় স্বীকার

ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) আনোয়ারুল আজীম আনারকে হত্যার উদ্দেশ্যে অপহরণের মামলায় ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন আওয়ামী লীগ নেতা কাজী কামাল আহমেদ বাবু। এ মামলায় গ্রেপ্তার পাঁচজনের মধ্যে চারজনই দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন। গ্রেপ্তার অপর আসামি মিন্টু আট দিনের রিমান্ডে রয়েছেন। আদালতে শেরেবাংলা নগর থানার সাধারণ নিবন্ধন শাখার কর্মকর্তা পুলিশের উপ-পরিদর্শক জালাল উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

শুক্রবার (১৪ জুন) আসামি বাবু স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে সম্মত হওয়ায় তা রেকর্ড করার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সহকারী কমিশনার মাহফুজুর রহমান। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জসিমের আদালত তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন। এরপর তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।

আরো পড়ুন  চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলার রায় আজ

এই মামলায় এর আগে শিমুল ভূঁইয়া ওরফে শিহাব ওরফে আমানুল্যাহ সাঈদ, তানভীর ভূঁইয়া ও শিলাস্তি রহমান আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। বর্তমানে তারা কারাগারে রয়েছেন।

গত ২২ মে রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় এমপি আনারের মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন তাদের বিরুদ্ধে বাবাকে খুন করার উদ্দেশ্যে অপহরণের অভিযোগে মামলা দায়ের করেন।

মামলার অভিযোগে মুনতারিন ফেরদৌস ডরিন উল্লেখ করেন, মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ের বাসায় আমরা সপরিবারে বসবাস করি। ৯ মে রাত ৮টার দিকে আমার বাবা আনোয়ারুল আজিম আনার গ্রামের বাড়ি ঝিনাইদহ যাওয়ার উদ্দেশে যাত্রা করেন। ১১ মে বিকেল পৌনে ৫টার দিকে বাবার সঙ্গে ভিডিও কলে কথা বললে বাবার কথাবার্তা কিছুটা অসংলগ্ন মনে হয়। এরপর বাবার মোবাইল নম্বরে একাধিকবার কল দিলেও বন্ধ পাই।

আরো পড়ুন  সেঞ্চুরি থেকে ১ মামলা দূরে শেখ হাসিনা

১৩ মে বাবার ভারতীয় নম্বর থেকে উজির মামার হোয়াটসঅ্যাপে একটি ক্ষুদে বার্তা আসে। এতে লেখা ছিল, ‘আমি হঠাৎ করে দিল্লি যাচ্ছি, আমার সঙ্গে ভিআইপি রয়েছে। আমি অমিত সাহার কাজে নিউটাউন যাচ্ছি। আমাকে ফোন দেয়ার দরকার নেই। আমি পরে ফোন দেব।’ এছাড়া আরও কয়েকটি বার্তা আসে। ক্ষুদে বার্তাগুলো আমার বাবার মোবাইল ফোন ব্যবহার করে অপহরণকারীরা করে থাকতে পারে।

আরো পড়ুন  অনুমোদনহীন স্বীকারে এসএমসি প্লাসের কর্ণধারকে অর্থদণ্ড

তিনি আরও উল্লেখ করেন, এরপর বিভিন্ন জায়গায় বাবার খোঁজ করতে থাকি। কোনো সন্ধান না পেয়ে তার বন্ধু গোপাল বিশ্বাস বাদী হয়ে ভারতীয় বারানগর পুলিশ স্টেশনে সাধারণ ডায়েরি করেন। এরপরও আমরা খোঁজাখুঁজি অব্যাহত রাখি। পরে বিভিন্ন গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জানতে পারি অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিরা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে পরস্পর যোগসাজশে আমার বাবাকে অপহরণ করেছে।

সর্বশেষ সংবাদ