নোয়াখালীর সদর উপজেলার দাদপুর ইউনিয়নে ফিল্মি কায়দায় অস্ত্রের মুখে এক কিশোরীকে (১৭) অপহরণের অভিযোগ উঠেছে। বুধবার (১৯ জুন) সকালে এ ঘটনায় ৪ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা চার থেকে পাঁচ জনকে আসামি করে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
এর আগে মঙ্গলবার (১৮ জুন) সন্ধ্যায় দাদপুর ইউনিয়নের পূর্ব বারাহিপুর গ্রামের আমিন নেতার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী কিশোরী স্থানীয় একটি বিদ্যালয় থেকে এবছর এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ওই কিশোরীকে বিদ্যালয় যাওয়া-আসার সময় সেজান নামের এক যুবক প্রায় সময় উত্যক্ত ও প্রেম নিবেদন করতেন। কিন্তু তার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় ওই কিশোরীকে দেখে নেয়ার হুমকি দেন সেজান। ঘটনার দিন মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মায়ের সঙ্গে নিজ ঘরে মাগরিবের নামাজ পড়ছিলেন ভুক্তভোগী কিশোরী। ওই সময় সেজান, শুভসহ ৪/৫ জন তাদের ঘরে প্রবেশ করে অস্ত্রের মুখে কিশোরীকে অপহরণ করে নিয়ে যায়।
ভুক্তভোগী কিশোরীর বাবা অভিযোগ করে বলেন, আমার মেয়েকে নামাজের জায়নামাজ থেকে জোরপূর্বক অস্ত্রের মুখে অপহরণ করে নিয়ে গেছে। এ ঘটনায় আমরা থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। পুলিশ এখনও আমার মেয়েকে উদ্ধার করতে পারেনি। আমার মেয়ের জীবনের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত।
দাদপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান শিপন বলেন, সন্ত্রাসী কায়দায় জোরপূর্বক নিজ ঘর থেকে কিশোরীকে অপহরণ করেছে স্থানীয় কিছু বখাটে। এ ঘটনায় স্থানীয়রা উদ্বিগ্ন। আমরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করে তার পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দিতে প্রয়োজনী ব্যবস্থা নেয়ার অনুরোধ করছি।
সুধারাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর জাহেদুল হক রনি বলেন, এ বিষয়ে আমরা একটা অভিযোগ পেয়েছি। আমাদের একাধিক দল ভুক্তভোগীকে উদ্ধারের কাজ করছে। তবে অস্ত্রের মুখে অপহরণ করেছে কিনা, সেটা তদন্ত করা ছাড়া বলা যাচ্ছে না।