গাইবান্ধার তুলসীঘাটে টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সাজ্জাদ হোসেনের গাড়িচাপায় রহিমা বেগম (৬০) নামে এক বৃদ্ধার মৃত্যু হয়েছে।
বুধবার (১৯ জুন) গাইবান্ধা-পলাশবাড়ী সড়কের তুলসীঘাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত রহিমা বেগম সদর উপজেলার তুলশীঘাট এলাকার আবু মণ্ডলের স্ত্রী। গাড়িচালক শহিদুল ইসলাম (৪৫) টাঙ্গাইল জেলার নাগরপুর উপজেলার করটিয়া কাজিবাড়ি গ্রামে নুরুল ইসলামের ছেলে।
বৃদ্ধা নিহত হয়েছেন বুঝতে পেরে গাড়ি ও ড্রাইভারকে রেখে পালিয়ে যান নির্বাহী প্রকৌশলী সাজ্জাদ হোসেন। এদিকে গাড়ি চাপায় নিহতের ঘটনা ধামাচাপা দিতে একটি চক্র থানায় মামলা না করেই তড়িঘড়ি করে মরদেহ দাফনের চেষ্টা করে। এতে এলাকায় ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। পরে নিহতের ছেলে বাদল মিয়া বাদী হয়ে বুধবার রাতে থানায় মামলা করেন।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বুধবার দুপুরে টাঙ্গাইল থেকে সরকারি গাড়ি (টাঙ্গাইল ঘ ১১-০০৬৪) নিয়ে গাইবান্ধায় আসছিলেন দাওয়াত খেতে পানি উন্নয়ন বোর্ড টাঙ্গাইলের নির্বাহী প্রকৌশলী সাজ্জাদ হোসেন। গাইবান্ধা-পলাশবাড়ী সড়কের তুলসীঘাট গুচ্ছগ্রাম এলাকায় রহিমা বেগম রাস্তা পারাপার হচ্ছিলেন। এসময় নির্বাহী প্রকৌশলীর গাড়িটি রহিমা বেগমকে চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। রহিমা বেগমের মৃত্যু নিশ্চিত জেনে নির্বাহী প্রকৌশলী সাজ্জাদ হোসেন গাড়ি থেকে নেমে গাড়ি ও ড্রাইভার শহিদুল ইসলামকে রেখে সটকে পড়েন। স্থানীয় জনতা গাড়ি ও চালককে আটক করে গাইবান্ধা সদর থানায় খবর দেয়। পুলিশ গিয়ে গাড়িটি উদ্ধার করে এবং ড্রাইভার শহিদুলকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। ঘটনার পর থেকে টাঙ্গাইলের নির্বাহী প্রকৌশলী সাজ্জাদ হোসেন ঘটনা ধামাচাপা দিতে বুধবার দুপুর থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত গাইবান্ধার নির্বাহী প্রকৌশলী হাফিজুর রহমানসহ একটি প্রভাবশালী চক্র ওই বৃদ্ধার মরদেহ তড়িঘড়ি করে দাফনের চেষ্টা চালায়। এ নিয়ে মোটা অঙ্কের টাকা লেনদেনের অভিযোগ ওঠে।
এ বিষয়ে গাইবান্ধা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুদ রানা বলেন, দুর্ঘটনাস্থল থেকে সরকারি গাড়িটি উদ্ধার ও চালককে আটক করা হয়েছে। নিহতের ছেলে বাদল মিয়া বাদী হয়ে বুধবার রাতে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।