নোয়াখালী সদর উপজেলার নিজ বাড়ি থেকে এক কিশোরীকে অপহরণের ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার (১৮ জুন) সন্ধ্যায় জেলার সদর উপজেলার নিজ বাড়ি থেকে অস্ত্রের মুখে নামাজরত ওই কিশোরীকে অপহরণ করা হয়।
অপহৃত কিশোরী স্থানীয় একটি স্কুল থেকে চলতি বছর এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন। ঘটনায় চারজনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত ৪ থেকে ৫ জনের নামে থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন কিশোরীর মা বিলকিস আরা। কিশোরীকে উদ্ধারে পুলিশের একাধিক দল মাঠে কাজ করছে বলে নিশ্চিত করেছেন পুলিশ।
ওই কিশোরীর মা বিলকিস আরা বলেন, আমার মেয়েকে জায়নামাজ থেকে জোরপূর্বক অস্ত্রের মুখে অপহরণ করে নিয়ে গেছে। মানুষজন জড়ো হলে ককটেল ফাটিয়ে তাকে মোটরসাইকেলে করে নিয়ে যাওয়া হয়। এ ঘটনায় রাতেই থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। পুলিশ এখনও আমার মেয়েকে উদ্ধার করতে পারেনি। তবে তারা চেষ্টা চালাচ্ছেন। আমি আমার মেয়ের জীবনের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত রয়েছি।
অভিযুক্তরা হলেন- উপজেলার দাদপুর ইউনিয়নের পূর্ব বারাহিপুর গ্রামের শাহ আলমের ছেলে সেজান (১৮), ইউসুফের ছেলে শুভ (১৮), মাঈন উদ্দিনের ছেলে মিরাজ (১৭) ও একই এলাকার শুভ (২০)।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, অপহৃত কিশোরীকে স্কুলে যাওয়া-আসার সময় সেজান প্রায় সময় উত্ত্যক্ত করতো এবং প্রেমের প্রস্তাব দিতো। কিন্তু প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় ওই কিশোরীকে বিভিন্ন সময় হুমকি-ধামকি দিয়ে সেজানকে দেখে নেওয়ার হুমকি দিতো। সর্বশেষ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মায়ের সঙ্গে নিজ ঘরে মাগরিবের নামাজ পড়ছিলেন কিশোরী। এ সময় সেজান, শুভসহ ৪ থেকে ৫ জন মিলে তাদের ঘরে প্রবেশ করে অস্ত্রের মুখে কিশোরীকে অপহরণ করে নিয়ে যায়।
দাদপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান শিপন ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, সন্ত্রাসী কায়দায় জোরপূর্বক ঘর থেকে কিশোরীকে অপহরণ করেছে স্থানীয় কিছু বখাটে। এ ঘটনায় স্থানীয়রা উদ্বিগ্ন। আমরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করে তার পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ করছি।
সুধারাম মডেল থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) স্বপন দে বলেন, অভিযোগটি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। অস্ত্রের মুখে অপহরণ হয়েছে কিনা তা এখনও বলা যাচ্ছে না। বিষয়টি তদন্তাধীন। পাশাপাশি ভুক্তভোগী কিশোরীকে উদ্ধারের চেষ্টা করছি।
সুধারাম মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর জাহেদুল হক রনি বলেন, এ বিষয়ে একটা অভিযোগ পেয়েছি। আমাদের একাধিক দল ভুক্তভোগীকে উদ্ধারে কাজ করছে।