27 C
Dhaka
Friday, July 5, 2024

যে ২৭ জেলায় ছড়িয়েছে রাসেলস ভাইপার

দেশব্যাপী রাজত্ব গেড়ে বসতে শুরু করেছে এক সময়ের বিলুপ্ত বিষধর সাপ রাসেল ভাইপার। রাজশাহী এবং এর আশে পাশে ছাড়াও সাপটির খোঁজ মিলছে বরিশাল, পটুয়াখালী, চাঁদপুর এমনকি ঢাকার আশপাশেও। অস্তিত্ব মিলেছে ২৭টি জেলায়। ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত এ সাপের কামড়ে মারা গেছেন ১০ জন।

রাজশাহী, নাটোর, নওগাঁ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, পাবনা, জয়পুরহাট, ঝিনাইদহ, মেহেরপুর, কুষ্টিয়া, যশোর, সাতক্ষীরা, চুয়াডাঙ্গা, রাজবাড়ী ফরিদপুর, মাদারীপুর, শরীয়তপুর, মানিকগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ, ঢাকা, চাঁদপুর, লক্ষ্মীপুর, নোয়াখালী, বরিশাল, পটুয়াখালী, ভোলা, বরগুনা, ঝালকাঠি জেলায় ছড়িয়ে রাসেলস ভাইপার।

আরো পড়ুন  জামায়াত পন্থী ইউপি সদস্যকে হত্যার উদ্দেশ্যে কুপিয়ে জখম, স্থানীয়দের গণপিটুনিতে সন্ত্রাসীর নিহত

সরকারের ভেনম রিসার্চ সেন্টারের তথ্য বলছে পদ্মা নদীর তীরবর্তী জেলাগুলোতে এই সাপ বেশি ছড়াচ্ছে। গবেষকেরা বলছেন, অনুকূল আবহাওয়ার কারণেই ছড়াচ্ছে রাসেলস ভাইপার। মূলত পদ্মা অববাহিকায় চাঁদপুর, মাদারীপুর, মানিকগঞ্জ এমনকি ঢাকাতেও দেখা মিলছে রাসেলস ভাইপারের। এটিই একমাত্র বিষধর সাপ, যে বাচ্চা দেয়। প্রতিবারে জন্ম নেয় ৪০ থেকে ৫০টি বাচ্চা। কোন কোন সাপ ৮০টি পর্যন্ত বাচ্চা দিতে পারে। এই সাপের কামড়ে দেড় বছরে শুধু রাজশাহী মেডিকেলেই মারা গেছেন অন্তত ১৮ জন। এ সময়ে ওই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৬৮ জন।

আরো পড়ুন  ‘র‌্যাবের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে বলেছে হোয়াইট হাউস’

স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবির বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে অতিরিক্ত আদ্রতা ও অতিরিক্ত গরম অনুভূত হচ্ছে। আর নদীর পানির পরিমাণ বেড়ে যাচ্ছে। এমন পরিবেশ রাসেলস ভাইপারের বেঁচে থাকার ও বংশবৃদ্ধির জন্য উপযুক্ত।’

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এনসিডিসির লাইন ডিরেক্টর অধ্যাপক রোবেদ আমিন বলেন, ‘এরই মধ্যে ৫০টি রাসেলস ভাইপার সংগ্রহ করা হয়েছে। এন্টি ভেনম তৈরির গবেষণা চলছে। বর্তমানে এই সাপে কাটলে ভারতে তৈরি এন্টি ভেনম দেওয়া হয়।‘নিজস্ব সাপের বিরুদ্ধে যখন নিজস্ব অ্যান্টি ভেনম তৈরি হবে, তখন আমরা বলতে পারব আমরা এই সাপে কাটা রোগীদের সঠিক সেবা দিতে পারছি। এর আগ পর্যন্ত আমাদের ভারতের অ্যান্টিভেনমের ওপর ভরসা করে থাকতে হবে।’

আরো পড়ুন  সারা দেশে কালবৈশাখী ঝড় নিয়ে ৩ দিনের সতর্কবার্তা

তিনি বলেন, ‌‌‘অ্যান্টিভেনম উপজেলা পর্যায় পর্যন্ত দেওয়া আছে। যেসব এলাকায় সাপের উপদ্রব বেশি, সেসব জায়গায় সংরক্ষিত আছে। এনসিডির (নন কমিউনিকেবল ডিজিজ) সঙ্গে যোগাযোগ করলে সেটি পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে।’

সর্বশেষ সংবাদ