নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে নাসিক ২ নম্বর ওয়ার্ডে যুবলীগের অফিসে হামলা চালিয়েছে কিশোর গ্যাং টেনশন গ্রুপের লিডার রাইসুল ইসলাম সীমান্ত ও তার সহযোগীরা। রোববার (২৩ জুন) সন্ধ্যায় দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আকস্মিক এ হামলা চালিয়ে অফিস ভাঙচুর করে তারা।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বকর সিদ্দিক। তিনি ঢাকা পোস্টকে জানান, এই ঘটনায় থানায় অভিযোগ দায়ের প্রক্রিয়াধীন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, হামলাকারীরা অফিস ভাঙচুর করে যুবলীগ নেতা ইয়াসিন আরাফাত রাসেলকে মারধর করে। এছাড়াও সেখানে থাকা মহিলা নেত্রী ফাতেমাকে মারধর করে শ্লীলতাহানী করে। পরে লোকজন এগিয়ে এলে এ ঘটনায় কোনো আইনগত ব্যবস্থা না নেওয়ার জন্য হুমকি দিয়ে চলে যায়।
হামলায় আহত রাসেল বলেন, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা পরিচয়দানকারী শফিকুল ইসলাম শফির ছেলে টেনশন গ্রুপের লিডার রাইসুল ইসলাম সীমান্ত, মিজমিজি এলাকার টুলুর ছেলে মইন, কাশেমের ছেলে মুন্না, মজিবুরের ছেলে আলামিনসহ আরও কয়েকজন হামলা চালিয়ে অফিস ভাঙচুর করে। এ সময় আমাদের মারধর করে টেবিলের ড্রয়ার থেকে ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা ও একটি মোবাইল নিয়ে যায়। তারা সেখানে উপস্থিত একজন নারী নেত্রীকেও শ্লীলতাহানি করে।
এ বিষয়ে নারী নেত্রী ফাতেমা জানান, আমাকে মারধর করে পরনের কাপড় ছিড়ে ফেলে। আমার শ্লীলতাহানি ঘটায় কিশোর গ্যাং টেনশন গ্রুপের লিডার সীমান্ত। এই ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নিতে আমি সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় এসেছি।
ওসি আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, এ ঘটনায় ফাতেমা নামে এক নারী নেত্রীর অভিযোগ দায়ের করতে এসেছেন। অভিযোগের পরেই বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কোনো অপরাধীকে ছাড় দেওয়া হবে না।