27 C
Dhaka
Sunday, June 30, 2024

ছাগলকাণ্ড: স্ত্রী-ছেলেসহ মতিউরের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

ছাগলকাণ্ডে আলোচিত রাজস্ব বোর্ডের সাবেক কর্মকর্তা মতিউর রহমান, তার স্ত্রী নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলা চেয়ারম্যান লায়লা কানিজ এবং তাদের ছেলে আহম্মেদ তৌফিকুর রহমান অর্নবকে দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত।

সোমবার (২৪ জুন) দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের প্রেক্ষিতে ঢাকার সিনিয়র স্পেশাল জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেন এ আদেশ দেন।

এদিকে এরই মধ্যে মতিউর রহমান দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন বলে একাধিক সূত্রে খবর পাওয়া গেছে। তার ঘনিষ্ঠ একাধিক কাস্টমস কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছেন, প্রভাবশালী সিন্ডিকেটের মাধ্যমে রোববার (২৩ জুন) বিকেলে আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে দেশে ছেড়েছেন মতিউর রহমান।

আরো পড়ুন  সন্ধান মিলল ছাগলকাণ্ডের সেই মতিউরের

সম্প্রতি ইফাত নামের এক তরুণ কোরবানির জন্য ১৫ লাখ টাকায় একটি ছাগল কেনেন। বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে সবাই খুঁজতে থাকেন এত টাকার উৎস কী? তখনই সামনে আসে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড কর্মকর্তা মতিউর রহমানের নাম। যদিও এক পর্যায়ে নিজের ছেলেকেও অস্বীকার করেন মতিউর।

আলোচিত সেই ঘটনার পর সরকারের উচ্চমহল অনেকটা নিশ্চুপ থাকলেও পরে আর শেষ রক্ষা হয়নি মতিউরের। এনবিআরের পদ থেকে সরিয়ে তাকে সংযুক্ত করা হয় অর্থমন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগে। রোববার সরকারের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ- আইআরপি থেকে এ আদেশ দেয়া হয়।

আরো পড়ুন  ‘নগ্ন অবস্থায় নারীর সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের আপত্তিকর অঙ্গভঙ্গি’

এ ছাড়া মতিউর রহমানকে ২০২২ সালের ১ ফেব্রুয়ারি তিন বছরের জন্য সোনালী ব্যাংকের পরিচালক নিয়োগ দেয়ার সুপারিশ করে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ। তবে ছাগলকাণ্ডের পর এ পদও খোয়াতে হয়েছে তাকে। এর আগেও তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠে, যা তদন্ত করছে দুদক।

জানা যায়, মতিউর রহমানের ছেলে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের সাদিক অ্যাগ্রো থেকে ১৫ লাখ টাকায় একটি ছাগল ছাড়াও ঢাকার বিভিন্ন খামার থেকে ৭০ লাখ টাকার গরু কেনেন বলেও উঠে আসে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। এরপর থেকে মতিউর রহমানের ছেলের দামি ব্র্যান্ডের ঘড়ি, গাড়ি, আলিশান জীবনযাপন; মতিউর রহমান ও পরিবারের সদস্যদের নামে রিসোর্ট, শুটিং স্পট, বাংলো বাড়ি, জমিসহ নামে-বেনামে সম্পত্তি নিয়ে আলোচনা শুরু হয়।

আরো পড়ুন  কবর দেওয়ার সময় কেঁদে উঠল ‘মৃত’ নবজাতক

অভিযোগ রয়েছে, সরকারি এই কর্মকর্তা দুর্নীতির মাধ্যমে গড়েছেন সম্পদের পাহাড়। এরইমধ্যে একাধিক গোয়েন্দা সংস্থা তার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদের তথ্য জানতে মাঠে নেমেছে। প্রাথমিকভাবে বেশ কিছু সম্পদের তথ্যও পাওয়া গেছে।

সর্বশেষ সংবাদ