18 C
Dhaka
Friday, December 27, 2024

আদানির কেন্দ্র থেকে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ

ভারতের আদানি গ্রুপের কেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ আসা বন্ধ হয়ে গেছে। হঠাৎ এটি বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণে ঢাকার বাইরে গ্রামাঞ্চলে লোডশেডিং দেখা দিয়েছে। জানা যায়, দ্বিতীয় ইউনিটে কারিগরি ত্রুটির কারণে ২৫ জুন থেকে উৎপাদন অর্ধেকে নেমে যায়। ধীরে ধীরে উৎপাদন বাড়ানো হচ্ছিল, কিন্তু শুক্রবার (২৮ জুন) সকাল ৯টা ৪৩ মিনিটে এটি পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। ত্রুটি অনুসন্ধান করে দেখছে কেন্দ্রটি।

কেন্দ্রটির দুটি ইউনিট থেকে গড়ে প্রায় দেড় হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাওয়া যেত। নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণের জন্য কেন্দ্রটির প্রথম ইউনিট আগে থেকেই বন্ধ। এর মধ্যে দ্বিতীয় ইউনিটে ত্রুটি দেখা দেয়ায় শুক্রবার (২৮ জুন) উৎপাদন বন্ধ হয়ে গেছে। পুনরায় কবে উৎপাদন শুরু হতে পারে, তা এখনো নিশ্চিত করতে পারেনি বিদ্যুৎকেন্দ্রটি।

আরো পড়ুন  যোগসাজশে বোতলজাত পানির দাম বৃদ্ধি, ৭ কোম্পানির বিরুদ্ধে মামলা

এর আগে ঈদের ছুটির সময় চাহিদা কম থাকায় রক্ষণাবেক্ষণে যায় আদানি বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিট। এটি আগামী ৫ জুলাই উৎপাদনে ফিরতে পারে। দুটি ইউনিটের প্রতিটির উৎপাদনসক্ষমতা ৮০০ মেগাওয়াট করে। হঠাৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় দেশে বিদ্যুৎ সরবরাহে বড় ঘাটতি তৈরি হয়েছে। এ ছাড়া পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্রের ৬২২ মেগাওয়াট ক্ষমতার একটি ইউনিট রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ২৫ জুন থেকে বন্ধ। এতে ঢাকার বাইরে গ্রামাঞ্চলে লোডশেডিং দেখা দেয়। তবে শনিবার (২৯ জুন) বৃষ্টির কারণে বিদ্যুতের চাহিদা কমে কিছুটা স্বস্তি নেমে আসে।

আরো পড়ুন  সঞ্চয়পত্র নিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নতুন নির্দেশনা

প্রসঙ্গত, আদানির বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিট থেকে গড়ে ৭৫০ মেগাওয়াট করে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হয় গেল বছরের মার্চে। দ্বিতীয় ইউনিট থেকে উৎপাদন শুরু হয় জুনে। এর কিছুদিন পর জুনেই ঝড়ের কারণে রহনপুরে সঞ্চালন লাইন কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে আদানির বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়েছিল। এরপর ত্রুটি ঠিকঠাক করলে আবার উৎপাদন শুরু হয় কেন্দ্রটির। এতে ওই সময় কয়েক দিন বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যাহত হয়েছিল।

আরো পড়ুন  আর্থিক খাতের এক ‘দরবেশের’ পতন
সর্বশেষ সংবাদ