গ্রামে লোডশেডিং না দিয়ে বড়লোকদের এলাকায় দিতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শনিবার (২৯ জুন) বিকেলে জাতীয় সংসদে প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
সরকারপ্রধান বলেন, আমি বলে দিয়েছি গ্রামে লোডশেডিং না দিতে। গুলশান, বনানী, বারিধারা এসব বড়লোকদের এলাকায় দুই হাজার মেগাওয়াট লোডশেডিং দিয়ে তাদের মনে করিয়ে দিতে হবে আরাম-আয়েশটা আকাশ থেকে পড়েনি।
তিনি বলেন, লোডশেডিং দিয়ে বিত্তশালীদের মনে করিয়ে দিতে হবে এয়ারকন্ডিশন, গাড়ি-বাড়ি, লিফট ইত্যাদি আমাদের করা।
শেখ হাসিনা বলেন, বিদ্যুৎ নিয়ে অনেক কথা। বিশেষ আইন করা নিয়েও সমালোচনা শুনছি। আমার প্রশ্ন, এই বিশেষ আইন না করলে, বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র নির্মাণ না করলে আজকে বিদ্যুৎটা কোথা থেকে আসত? আমরা ৩০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের সক্ষমতা অর্জন করেছি।
তিনি বলেন, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের ভর্তুকি ধীরে ধীরে কমাতে হবে। এ খাতে আমরা কেন ভর্তুকি দেব? বেশি বেশি এয়ারকন্ডিশন, ফ্রিজ, লিফট চলার জন্য দেব? তা তো দেব না।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযান শুরু হয়েছে। দুর্নীতি করলে কারও রক্ষা নেই। যারাই দুর্নীতি করবে তাদের ধরা হবে।
বাজেট প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বাজেট বাস্তবায়নের চ্যালেঞ্জ নেওয়ার মতো সক্ষমতা সরকারের আছে। চ্যালেঞ্জ নিয়েছি বলেই বড় বাজেট বাস্তবায়ন সম্ভব হয়েছে।
সরকারপ্রধান বলেন, আমি মোটেই বাজেটকে উচ্চাভিলাসী মনে করি না। একটা লক্ষ্য আমরা স্থির করি। শতভাগ কখনও পূরণ হয় না। তারপরও আমাদের সুনির্দিষ্ট একটা লক্ষ্য থাকে যে এখানে আমরা যাব। সেটা আমরা যেতে পেরেছি। কোথায় ৬২ হাজার কোটি টাকার বাজেট, আর কোথায় ৭ লাখ কোটি টাকার বাজেট। আমরা তো এই জায়গায় আসতে পেরেছি।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগে জাতির কাছে দেওয়া ইশতেহার ভুলে যায় না। মূল্যস্ফীতি কমাতে সরকার নানা পদক্ষেপ নিয়েছে। বাজারে দ্রুত এর প্রভাব পড়বে।
শেখ হাসিনা বলেন, এই বাজেটের মধ্যে আগামী দিনে আমরা যে প্রেক্ষিত পরিকল্পনা করেছি ২০২১ থেকে ২০৪১ সাল, সেটি বাস্তবায়নে সক্ষম হবো। সে ধারাবাহিকতা আমাদের আছে।