পূর্ব আটলান্টিক মহাসাগরে সৃষ্ট হারিকেন বেরিল আরও শক্তি সঞ্চয় করেছে। এটি এখন বিপজ্জনক ঘূর্ণিঝগে পরিণত হয়ে ক্যারিবীয় দেশগুলোর দিকে ধেয়ে আসছে। সোমবার (৩০ জুন) ভোরের দিকে এটি এই অঞ্চলের দেশগুলোতে আঘাত হানতে পারে।
বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, শক্তিশালী ও সম্ভাব্য প্রাণঘাতী হারিকেন বেরিল আরও শক্তি সঞ্চার করে ক্যারিবীয় অঞ্চলের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। এই জন্য আগাম প্রস্তুতি নিতে বাসিন্দাদের সতর্ক করছেন এসব দেশের সরকার।
হারিকেনও এক ধরনের সামুদ্রিক ঘূর্ণিঝড়। উত্তর আটলান্টিক মহাসাগর, মধ্য ও পূর্ব-উত্তর প্রশান্ত মহাসাগর, ক্যারিবীয় সাগর এবং মেক্সিকো উপসাগরে তৈরি হওয়া ঘূর্ণিঝড়কে হারিকেন বলা হয়। সাধারণ যুক্তরাষ্ট্র, মেক্সিকো, কিউবা ও ক্যারিবীয় অঞ্চলের দেশগুলোতে এই হারিকেন আঘাত হানে।
এবারের মৌসুমে ক্যারিবীয় অঞ্চলে আঘাত হানতে যাওয়া প্রথম হারিকেন হলো বেরিল। ইতিমধ্যে এটি অত্যন্ত বিপজ্জনক ক্যাটাগরি থ্রি-তে উন্নীত হয়েছে। এর মানে হলো এই ঘূর্ণিঝড়টি উপকূলে ১৭৯ থেকে ২০৯ কিলোমিটার বেগে আচড়ে পড়তে পারে। ক্যারিবীয় অঞ্চলের দেশ বার্বাডোস, ডোমিনিকা, গ্রেনাডা ও মার্টিনিক উপকূলের কাছাকাছি অগ্রসর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এটি আরও শক্তিশালী হতে পারে পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে।
আবহাওয়াবিদরা বলছেন, পূর্ব আটলান্টিক মহাসাগর লাগোয়া উইন্ডওয়ার্ড দ্বীপপুঞ্জে সবার আগে আঘাত হানতে পারে এই ঘূর্ণিঝড়। ডমিনিকা, মার্টিনিক, সেন্ট লুসিয়া, সেন্ট ভিনসেন্ট এবং গ্রানাডাইনস ও গ্রেনাডার নিয়ে গঠিত উইন্ডওয়ার্ড দ্বীপপুঞ্জ। ঘূর্ণিঝড়টি আঘাত হানার সময় এসব দেশের সমুদ্র উপকূলীয় এলাকায় উচ্চ ঢেউয়ের পাশাপাশি ভারী বৃষ্টিপাতের প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে।
এদিকে ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানার খবরে মানুষজন বাড়িতে খাবার মজুত করতে শুরু করেছেন। ফিলিং স্টেশনে জ্বালানি তেলের জন্য মানুষের দীর্ঘ সারি দেখা গেছে।
স্থানীয় সময় শনিবার রাতে জাতির উদ্দেশে দেওয়া এক ভাষণে বার্বাডোসের প্রধানমন্ত্রী হারিকেন আঘাত হানার সময় বন্ধুবান্ধব, পরিবার ও প্রতিবেশীদের খবর নেয়া আহ্বান জানিয়েছেন।
আটলান্টিক মহাসাগর অঞ্চলে হারিকেন মৌসুমের শুরুতে এটি দ্বিতীয় শক্তিশালী ঝড় হতে যাচ্ছে। এই অঞ্চলে হারিকেন মৌসুম সাধারণত ১ জুনে শুরু হয়ে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত চলে। এর আগে প্রথম গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ঝড় আলবার্টোর আঘাতে চারজনের মৃত্যু হয়।