33 C
Dhaka
Sunday, July 7, 2024

প্রশ্নপত্রে ব্যান্ডের নাম থাকার বিষয়ে যা জানা গেল

রোববার বাংলা প্রথম পত্রের পরীক্ষার মধ্য দিয়ে সারাদেশে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়। প্রথম পরীক্ষা শেষে দেখা যায়, প্রশ্নপত্রের বিভিন্ন সেট দেশের বিভিন্ন ব্যান্ড দলের নামে সাজানো হয়। তবে শুধু বাংলাদেশি ব্যান্ড দিয়েই সাজানো হয়নি প্রশ্নপত্রের সেট। আছে কলকাতার বাংলা ব্যান্ডের নামও। আটটি বোর্ডের প্রশ্নের কোডগুলোর ছবি এরইমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।

পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে দেখা যায়, ওয়ারফেজ, মাইলস ও চিরকুটসহ বিভিন্ন ব্যান্ডের নাম দেখা গেছে।

এ বিষয়ে জানতে কথা হয় মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড চট্টগ্রামের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর এ এম এম মুজিবুর রহমানের সঙ্গে।

আরো পড়ুন  স্কুল-কলেজে শনিবার ছুটি থাকবে কিনা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানালো মন্ত্রণালয়

তিনি বলেন, ‘প্রশ্নপত্রে কোড নাম আগে থেকেই ব্যবহার করা হত। আগে নদীর নামে করা হত। কখনো ফুলের নামে করা হত। এটার সঙ্গে শিক্ষাবোর্ডের যুক্ততা কম। বিজি প্রেস এ কাজটি করে থাকে। হয়ত চিহ্নিতকরণের জন্য করে। সেক্ষেত্রে পরীক্ষার্থীরা যখন পরীক্ষার হলে প্রশ্নপত্র দেখে তখন নদীর নাম, মাছের নাম, ফুলের নাম দেখত। এখন সময় বদলেছে, মানুষের দৃষ্টিভঙ্গিও বদলেছে। আজকালকার তরুণদের কাছে ব্যান্ডগুলো অনেক বেশি প্রিয়। তারা কনসার্টে যোগ দেয়। নতুন নতুন যেসব ব্যান্ড আছে তাদের গান শুনে। কাজেই বিজি প্রেসের মাথায় হয়ত এটি কাজ করেছে। প্রশ্নটা হাতে নিলে শিক্ষার্থীরা ইতিবাচকভাবে প্রভাবিত হতে পারে।’

আরো পড়ুন  তীব্র গরমে ক্লাসেই অসুস্থ ৩০ শিক্ষার্থী

তিনি আরও বলেন, ‘প্রশ্নপত্রে এসব কোড নাম হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এই নামগুলো ব্যান্ড মিউজিকে খুবই জনপ্রিয়। জনপ্রিয় ব্যান্ডের মধ্যে কিছু নাম বাছাই করে দেয়া হচ্ছে। তরুণদের প্রাণিত করার জন্য হয়ত প্রশ্নপত্রে বিভিন্ন ব্যান্ডের নাম ব্যবহৃত হচ্ছে। এর বাইরে অন্য কোনো কারণ আছে বলে আমার মনে হয় না।’

পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর এ এম এম মুজিবুর রহমান বলেন, ‘যদিও পরীক্ষার্থীদের এসব নাম নিয়ে প্রভাবিত হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। এটাকে নাম হিসেবে দেখলেই ভাল হয়। কোড নাম এগুলো। আমরা বলি নদীমাতৃক বাংলাদেশ, নদীর নাম যখন আসে, আমাদের ভাল লাগে। দেশীয় ফলের নাম আসলে ভাল লাগে। এই প্রজন্ম তারা বিশ্ব নাগরিক। পৃথিবীর নানা জায়গায় ব্যবহৃত নানা কিছু তারা জানে। বিশেষ করে যখন সংগীতময় একটা সময় চলছে, সেই জন্য হয়ত বিজি প্রেস এ দিকটা বিবেচনা করে ব্যান্ডের নাম ব্যবহার করেছেন। যেই নামগুলো মানুষের মুখে মুখে শোনা যায় তাই ব্যবহার করা হয়েছে।’

আরো পড়ুন  জবির সেই ইমামকে নামাজ পড়ানোর অনুমতি
সর্বশেষ সংবাদ