মিনিস্ট্রি অডিটের নামে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শিক্ষকদের কাছ থেকে ঘুষ দাবি করার অভিযোগ ওঠেছে অডিটরদের বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে হবিগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমনের কাছে আবেদন জানিয়েছেন ভুক্তভোগী শিক্ষকরা।
পরে বুধবার (৩ জুলাই) রাতে বিষয়টি নিয়ে ব্যারিস্টার সুমন তার ফেসবুকে পোস্ট দেন। লেখেন, ‘এই মেইলটি আমাকে দেয়া হয়েছে, কেউ কি কোনো ব্যবস্থা নেবেন।’
‘মিনিস্ট্রি অডিটের নামে ঘুষ দাবি থেকে রেহাই প্রসঙ্গে’ লেখা আবেদন সূত্রে জানা যায়, গত ২৬ ও ২৭ জুন কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচর উপজেলার ৮টি এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মিনিস্ট্রি অডিট শেষ হয়। প্রতিষ্ঠানগুলো হলো: বেগম নূরুন্নাহার পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, এমাদ উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়, লক্ষীপুর দ্বি-মুখি উচ্চ বিদ্যালয়, ছয়সূতী ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়, আগোরপুর গোকূল চন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়, মুসা মিয়া উচ্চ বিদ্যালয়, বীর কাসিম নগর ফিদুল্লা উচ্চ বিদ্যালয় এবং সালুয়া দাখিল মাদ্রাসা।
আবেদনে শিক্ষকরা অভিযোগ করেন, ‘অডিটের নামে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শিক্ষকদের কাছ থেকে প্রধান শিক্ষকের মাধ্যমে ঘুষ দাবি করেন অডিটররা। এ বিষয়ে পরবর্তিতে স্ব স্ব প্রতিষ্ঠান প্রধান কুলিয়ারচর মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের উপস্থিতিতে কতিপয় শিক্ষক নেতার সঙ্গে সভা করে কোনো প্রকার প্রতিবাদের ব্যবস্থা না নিয়ে সিদ্ধান্ত নেন, প্রত্যেক শিক্ষক তাদের এক মাসের এমপিও বাবদ যে বেতন-ভাতা পান, তার অর্ধেক টাকা প্রধান শিক্ষকের কাছে জমা দিতে হবে, যা অডিটরদের কাছে আগামী ১০ জুলাই হস্তান্তর করা হবে।’
এমন অবস্থায় দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের শাস্তির দাবি জানিয়ে শিক্ষকরা বলেন, ‘এ বিষয়ে স্ব স্ব প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষকরাও একমত পোষণ করে কোনো প্রকার প্রতিবাদ না করে ঘুষের টাকা জমা দেয়ার জন্য সাধারণ শিক্ষকদের নির্দেশ দেন। এমতাবস্থায় এ থেকে ভুক্তভোগী সাধারণ শিক্ষকসমাজ মুক্তি চাই এবং বিষয়টি যাচাই করে দুর্নীতিবাজদের শাস্তির দাবি জানাই।’
কিশোরগঞ্জের ঘটনায় হবিগঞ্জের সংসদ সদস্যের কাছে প্রতিকার চেয়ে আবেদন করার প্রসঙ্গে লেখা হয়েছে, ‘আপনি হবিগঞ্জ-৪ আসনের এমপি হওয়ার পরও আপনার শরণাগত হয়েছি; কারণ আপনি আমাদের দেশের একজন সাহসী নেতা।’ একই সঙ্গে আবেদনকারীর পরিচয় গোপন রাখার জন্যেও অনুরোধ জানানো হয়েছে।