রাজধানীর ফার্মগেট পূর্ব রাজাবাজার এলাকায় বাসার গেটে দাঁড়িয়ে থাকা নিরাপত্তা প্রহরীকে গাড়িচাপা দিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে ফ্ল্যাট ও গাড়ি মালিকের বিরুদ্ধে। এখনও কোনো সুরাহা না মিললেও ঘটনার পর থেকেই পলাতক অভিযুক্ত গাড়ির মালিক মফিদুল ইসলাম। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, ক্ষয় হওয়া ব্রেকপ্যাড চেক করতে গিয়েই এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা।
বাড়ির মেইন গেটে দাঁড়িয়ে নিরাপত্তা প্রহরী ফজলুল হক হয়তো ভাবেনওনি এই শেষবারের মতো গেট বন্ধ করছেন তিনি। ভেতর থেকে দরজার ফাঁকা অংশ দিয়ে বাইরে তাকিয়ে ছিলেন। কিছুক্ষণের মধ্যেই সাদা রঙের একটি প্রাইভেট কার সজোরে ধাক্কা দিলে গেটে দাঁড়িয়ে থাকা নিরাপত্তা প্রহরী ফজলুল হক স্টিলের গেট ভেঙে বাইরে ছিটকে পড়েন।
রাজধানীর পূর্ব রাজাবাজার এলাকায় বৃহস্পতিবার সকালে ভবনের এক ফ্ল্যাট মালিকের গাড়ির চাপায় পিষ্ট হয়ে নিরাপত্তা প্রহরী ফজলুল হক নিহতের ঘটনায় এখনও মেলেনি কোনো সুরাহা। ঘটনার পর থেকেই পলাতক অভিযুক্ত গাড়ির মালিক মফিদুল ইসলাম।
এ ঘটনায় এলাকাবাসীর মধ্যে বিরাজ করছে উৎকণ্ঠা। এ ঘটনার দ্রুত এবং সুষ্ঠু বিচারের দাবি তাদের।
মফিদুল ইসলামের গাড়ির চালক বলছেন, গাড়ির ব্রেকপ্যাড ক্ষয় হয়ে গিয়েছিল। স্যার সেটা চেক করতে গাড়িতে উঠে পা দিয়ে একসেলেটর চাপ দেন, এরপর গাড়ি চলতে শুরু করলে তিনি হয়তো থামাতে গিয়ে ব্রেকে পা না দিয়ে ভুলে একসেলেটরে আরও জোরে চাপ দেন। এতে গাড়ি মুহূর্তের মধ্যে গেট ভেঙে বাইরে গিয়ে ধাক্কা খায়।
নিহত ফজলুল হকের বোন বলেন, ‘সকাল ১০টার দিকে খবর পাইলাম একটা দুর্ঘটনা ঘটছে। আমার ভাইরে মাইরা ফালাইছে। কে বা কারা মারছে জানতে চাইলে জানতে পারি বাড়িওয়ালা মাইরা পালাইছে। আমি প্রধানমন্ত্রীর কাছে এর সুষ্ঠু বিচার চাই।’
ময়নাতদন্তের পর নিহতের মরদেহ শুক্রবার তার গ্রামের বাড়ি নেত্রকোনায় দাফন করা হয়েছে। নিহতের স্ত্রী বাদী হয়ে শেরেবাংলা নগর থানায় মামলা করেছেন।