রংপুরের বদরগঞ্জে ১৫ ঘণ্টা অনশনের পর প্রেমিককে স্বামী হিসেবে পেয়েছেন এক তরুণী। রোববার (৭ জুলাই) ভোরে তরুণীকে তার পরিবারের সম্মতিতে বিয়ে করেন তরুণ। এর আগে শনিবার (৬ জুলাই) প্রেমিকের বাড়ির সামনে অনশনে বসেন তরুণী।
এদিকে তরুণীকে বাড়িতে আসতে দেখে প্রধান ফটক বন্ধ করে দেন তরুণের স্বজনেরা। কিন্তু বিয়ের দাবিতে অনড় তরুণী ফটকের সামনেই অবস্থান নিয়ে অনশন শুরু করেন। অবস্থা বেগতিক বুঝে অনশনের ১৫ ঘণ্টা পর তরুণ-তরুণীর বিয়ে দেন স্বজনরা।
ওই তরুণ একটি কলেজে অনার্স তৃতীয় বর্ষে পড়েন। তরুণী বলেন, কলেজে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এরপর তরুণ তাকে বিয়ের কথা বলেন। বছর দেড়েকের সম্পর্ক তাদের।
স্থানীয়রা জানান, তরুণ-তরুণী দুজনে প্রেম করেছেন। একসঙ্গে বিভিন্ন স্থানে করেছেন ঘোরাঘুরি। রেস্তোরাঁয় খেয়েছেন, দিয়েছেন আড্ডা। তরুণ তার প্রেমিকাকে বিয়ের আশ্বাসও দিয়েছেন। হঠাৎ তরুণীর সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন তরুণ। এতে তরুণী দিশাহারা হয়ে পড়েন। বিয়ের দাবিতে তরুণী তার প্রেমিকের বাড়িতে গিয়ে ওঠেন।
এ বিষয়ে তরুণী বলেন, কিছুদিন ধরে তাকে এড়িয়ে চলার চেষ্টা করে আসছিলেন তরুণ। সপ্তাহ খানেক তার সঙ্গে যোগাযোগ একেবারে বন্ধ করে দেন। বাধ্য হয়ে শনিবার বেলা দুইটার দিকে তিনি ছেলের বাড়িতে যান। কিন্তু ছেলের পরিবারের সদস্যরা বাড়ির প্রধান ফটক বন্ধ করে দেন। এ কারণে তিনি বাড়ির ভেতরে ঢুকতে না পেরে দরজার সামনে অবস্থান নিয়ে বিয়ের দাবিতে অনশন শুরু করেন। আশপাশের লোকজনও তার পক্ষে ছিলেন।
নববধূ বলেন, ‘ছেলেটিকে বিয়ে করা ছাড়া আমার কোনো উপায় ছিল না। আমি ওকে ভালোবাসি। আমার জন্য দোয়া করবেন।’
প্রতিবেশী ইয়াছিন আলী বলেন, মেয়েটি তার দাবি আদায় করেই ছেড়েছেন। তাদের বিয়ে হওয়ায় প্রতিবেশীরাও খুশি।
বদরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু হাসান কবীর বলেন, এমন ঘটনা তিনি অবগত আছেন। আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার আগেই বিয়ের মাধ্যমে সমস্যার সমাধান হয়েছে তাদের।