পশ্চিমাদের চোখ রাঙানির মধ্যেই রাশিয়া যাচ্ছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ২২তম ভারত-রাশিয়া বার্ষিক সম্মেলনে যোগ দিতে সোমবার (৮ জুলাই) মস্কোর উদ্দেশ্যে নয়াদিল্লি ছাড়েন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। তবে ক্রেমলিন বলছে, মোদির এই সফরকে ভালো চোখে দেখছে না পশ্চিমারা। এমন পরিস্থিতিতে, বিশ্ব রাজনীতিতে নতুন সমীকরণের গুঞ্জনও উঠছে।
পাঁচ বছর পর রাশিয়া যাচ্ছেন নরেন্দ্র মোদি। টানা তৃতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ার পর রাশিয়ায় তার প্রথম বিদেশ সফর। ইউক্রেন যুদ্ধকে কেন্দ্র করে রাশিয়ার সঙ্গে পশ্চিমা দেশগুলোর তীব্র উত্তেজনার মধ্যেই মোদির এই সফরকে বেশ গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে। যদিও ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর এই সফরকে ভালো চোখে দেখছে না যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা বিশ্ব।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, দুই দিনের সফরে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠক করবেন মোদি। দুই রাষ্ট্রপ্রধানের মধ্যে একাধিক বিষয় নিয়ে আলোচনার সম্ভাবনা রয়েছে। দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য, ইউক্রেন যুদ্ধ থেকে প্রতিরক্ষা সমঝোতার বিষয় উঠে আসতে পারে তাদের আলোচনায়।
ইউক্রেন যুদ্ধকে কেন্দ্র করে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ পশ্চিমাদের তোপের মুখে রয়েছে রাশিয়া। বহু ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞাও জারি করা হয়েছে। তবে মার্কিন চোখ রাঙানি থাকার পরও মস্কোর সঙ্গে বন্ধুত্ব নষ্ট করতে চায়নি নয়াদিল্লি। যদিও, ইউক্রেনে রুশ সামরিক অভিযানের বিরোধীতা করেছে ভারত।
এদিকে পশ্চিমারা মোদির মস্কো সফর ভালোভাবে দেখছে না বলে জানিয়েছে রাশিয়া। এক বিবৃতিতে ক্রেমলিনের মুখপাত্র অভিযোগ করে বলেন, ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর সফর ঈর্ষার চোখে দেখছে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলো। নরেন্দ্র মোদির এই সফর দু’দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের অগ্রগতির জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলেও উল্লেখ করেন দিমিত্রি পেসকোভ।
ঐতিহাসিকভাবে রাশিয়ার সঙ্গে গভীর সম্পর্ক রয়েছে ভারতের। যদিও অর্থনৈতিকসহ নানা কারণে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গেও সম্পর্ক জোরদারে আগ্রহী নয়াদিল্লি। মোদির শেষ রাশিয়া সফর ছিল ২০১৯ সালে। এবারের দু’দিনের সফর শেষে রাশিয়া থেকে অস্ট্রিয়াতে যাবেন তিনি। এর একদিন পর ফিরবেন ভারতে।