চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের আওতাধীন একটি পরীক্ষার কেন্দ্রে পদার্থবিজ্ঞান প্রথম পত্রের পরীক্ষার সময় পরীক্ষার্থীদের দেওয়া হয়েছে দ্বিতীয় পত্রের প্রশ্ন।
বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার ভাটিয়ারীতে বিজয় স্মরনী কলেজ কেন্দ্রে এমন ঘটনা ঘটেছে।
এ বিষয়ে পরীক্ষা দিতে আসা শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা জানান, পরীক্ষার শুরুতে ভুল প্রশ্নপত্র বিতরণ করা হয়। প্রশ্ন হাতে পেয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে হৈচৈ পড়ে যায়। এরপর শিক্ষার্থীদের থেকে প্রশ্নপত্রটি পুনরায় সংগ্রহ করে পরীক্ষা স্থগিত করে দেওয়া হয়। এ ঘটনার দুই ঘণ্টা পর প্রথম পত্রের প্রশ্নপত্র সংগ্রহ করে পুনরায় পরীক্ষা শুরু হয়।
চট্টগ্রাম মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক রেজাউল করিম জানান, পরীক্ষার প্রশ্ন বিতরণের দায়িত্ব জেলা প্রশাসনের। আর দেখেশুনে প্রতিদিন সকালে প্রশ্ন কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব কেন্দ্র সচিবের।
তিনি বলেন, কেন্দ্র সচিব ও জেলা প্রশাসনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার অবহেলা, অদক্ষতা ও অসতর্কতার কারণে বিজয় স্মরনী কলেজ কেন্দ্রে পদার্থবিজ্ঞান প্রথম পত্রের পরিবর্তে দ্বিতীয় পত্রের প্রশ্ন চলে গেছে। বিষয়টি জানতে পেরে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
ভুলে কেন্দ্রে সরবরাহ করা পদার্থবিজ্ঞান দ্বিতীয় পত্রের প্রশ্ন দিয়ে আর পরীক্ষা হবে না জানিয়ে অধ্যাপক রেজাউল করিম জানান, বিকল্প প্রশ্নে পদার্থবিজ্ঞান দ্বিতীয় পত্রের পরীক্ষা রুটিন অনুযায়ী অনুষ্ঠিত হবে।
এমন ভুলের জন্য বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বোর্ডের চেয়ারম্যান।
এ বিষয়ে জানতে কেন্দ্রের সচিব এবং বিজয় স্মরনী কলেজের অধ্যক্ষ শিব সঙ্কর দাশকে তার মোবাইল ফোনে কল করা হলে তিনি সাংবাদিকের পরিচয় জানার পর ‘ব্যস্ত আছি’ বলে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মুস্তাফা আলম সরকার জানান, পরীক্ষার আগের রাতে প্রশ্নপত্র সংগ্রহ করার দায়িত্ব থাকে সংশ্লিষ্ট কেন্দ্র সচিবের। জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের ট্রেজারি থেকে প্রত্যেক কেন্দ্র সচিবকে বা তাদের প্রতিনিধিকে প্রশ্নপত্র বুঝিয়ে দেওয়া হয়।
ইউএন রফিকুল ইসলাম বলেন, কার ভুলে এই ঘটনা ঘটেছে তদন্ত করে দেখা হবে। চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক কার্যালয় থেকে একটি তদন্ত কমিটি করা হচ্ছে, উপজেলা প্রশাসন থেকে সরকারি কমিশনার (ভূমি) মো. আলাউদ্দিনকে প্রধান করে একটি তদন্ত কমিটি করে দেওয়া হয়েছে। কমিটির অপর দুজন সদস্য হলেন মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মুস্তাফা আলম সরকার ও উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ হাবিবুল্লাহ।