ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে সামাজিক অস্থিরতা ও আত্মহত্যার প্রবণতা ক্রমেই বেড়ে চলছে। গত ২৮ জুলাই নবীনগর সদরে একই পরিবারের চারজন ফাঁস নিয়ে মারা যাওয়ার দুদিন পর ৩০ জুলাই মা-মেয়ে ঋণের চাপে পড়ে বিষাক্ত বড়ি খেয়ে মারা যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে নবীনগর উপজেলার ইব্রাহিমপুর ও কাঁঠালিয়া গ্রামে। পুলিশ দুজনের লাশ উদ্ধার করে ওই রাতেই নবীনগর থানায় নিয়ে আসে।
জানা যায়, নবীনগর উপজেলার ইব্রাহিমপুর গ্রামের দক্ষিণপাড়ার মজিবুর রহমানের স্ত্রী নূরতারা বেগম (৫৫) একাধিক সমিতি থেকে ক্ষুদ্রঋণ তুলেছিলেন এবং তার মেয়ে সবুজ মিয়ার স্ত্রী সোনিয়া আক্তারের কাছ থেকে টাকা ও স্বর্ণালংকার এনেছিলেন। মেয়ের টাকা-স্বর্ণালংকার দিতে না পারায় ও সমিতির কিস্তির চাপে পরে মা-মেয়ে দুজনই আত্মহত্যা করেন। গত মঙ্গলবার দুপুরে নূরতারা বেগম নাতিনের মাধ্যমে কাঁঠালিয়া গ্রামে মেয়ের কাছে বিষাক্ত বড়ি পাঠান। ওইদিনই দুপুরে প্রথমে মা সেটি খেয়ে মেয়েকে ফোনে জানালে মেয়েও কিছুক্ষণ পর বড়ি খেয়ে ফেলেন। পরিবারের লোকজন মুমূর্ষু অবস্থায় তাদের নবীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মা-মেয়ের স্টমাক ওয়াশ করে কুমিল্লায় রেফার করেন। কুমিল্লা নেওয়ার পথেই দুজন মারা যান। সোনিয়া আক্তার অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন।
নূরতারা বেগমের স্বামী মজিবুর রহমান বলেন, বিভিন্ন সমিতি ও মানুষের কাছ থেকে প্রায় ১২ লাখ টাকার মতো ঋণ ছিল আমাদের পরিবারের। আমার দুই ছেলে বিদেশ রয়েছে। তারা তো আমাদের টাকা পাঠাচ্ছে। তারপরও কেন আমার মেয়ে ও স্ত্রীকে মরতে হবে, আমি এটির কিছুই বুঝতে পারছি না।
নবীনগর থানার ওসি মাহবুব আলম বলেন, পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।