আট বছরের ছেলে মোরছালিনকে মাদ্রাসায় ভর্তি করাতে সকালে মোটরসাইকেলে নিজ বাড়ি থেকে ফরিদপুরের উদ্দেশে রওনা দেন কাশেম শেখ। একই মোটরসাইকেলে ছিলেন কাশেম শেখের ভাই নাজমুল শেখ।
পথিমধ্যে ট্রাকচাপায় গুরুতর আহত হন তিন জনই। দ্রুত উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়ার পথেই মারা যান তারা। ছেলেকে ভালো মাদ্রাসায় ভর্তি করার স্বপ্ন পূরণের আগেই ছেলে ও ভাইকে সঙ্গে নিয়েই চলে গেলেন না ফেরার দেশে কাশেম শেখ।
শনিবার (১১ মে) বেলা ১১টার দিকে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার হামিরদীতে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত কাশেম শেখের স্বজন আবু বক্কর জানান, কাশেম শেখের ছেলে মোরছালিন গোপালগঞ্জ জেলার মোকছেদপুর উপজেলার কোহেলদিয়া এলাকার একটি মাদ্রাসায় পড়ালেখা করতো। ফরিদপুরে ভালো মাদ্রাসায় ভর্তি করতেই সকালে তারা বাড়ি থেকে মোটরসাইকেলে রওনা দেন।
তিনি আরও জানান, কাশেম তার ছেলে মোরছালিন ও ভাই নাজমুলকে সঙ্গে নিয়ে একটি মোটরসাইকেলে ফরিদপুরে আসছিলেন। পথিমধ্যেই দুর্ঘটনায় তিন জনই মারা যান।
ভাঙ্গা হাইওয়ে থানার এস আই আব্দুল্লাহেল বাকী জানান, ফরিদপুর থেকে ভাঙ্গাগামী একটি ইটবোঝাই ট্রাক হামিরদী পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহত মোটরসাইকেল আরোহী তিন জনকে দ্রুত উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়ার পথে তিন জন মারা যান।
নিহতরা হলেন গোপালগঞ্জ জেলার মোকছেদপুর উপজেলার কোহেলদিয়া এলাকার বাসিন্দা কাশেম শেখ (৪০), তার ছেলে মোরছালিন (৮) ও কাশেম শেখের ভাই নাজমুল শেখ (৩৫)।
তিনি জানান, ছেলে মোরছালিনকে মাদ্রাসায় ভর্তি করাতে ছেলে ও ভাইকে সঙ্গে নিয়ে ফরিদপুরে আসছিলেন কাশেম। ঘাতক ট্রাক ও মোটরসাইকেল উদ্ধার করে থানায় আনা হয়েছে। মরদেহ হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে। মামলার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।