অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের শপথ গ্রহণের পর আজ থেকে সচিবালয়ে অফিস শুরু করেছেন উপদেষ্টারা। প্রথম দিনে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পাওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
শেখ হাসিনা জাতীয় যুব ইনস্টিটিউটের নাম পরিবর্তন, আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ এবং ক্রীড়াঙ্গনের অবকাঠামো উন্নয়নের পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করেছেন এই উপদেষ্টা।
রোববার (১১ আগস্ট) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন আসিফ মাহমুদ।
তিনি বলেন, প্রথম দিনে আমরা তিনটি বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছি। যার প্রথমটি হলো যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের অধীনে শেখ হাসিনা জাতীয় যুব উন্নয়ন ইনস্টিটিউট আছে, এটার নাম পরিবর্তন করতে চাই। যেহেতু বাংলাদেশে সহিংসতার সঙ্গে শেখ হাসিনার নাম জড়িত আছে। অনেক শিক্ষার্থী ও জনতা মারা গিয়েছে।
‘আমরা মনে করি, তিনি এর পেছনে জড়িত। সেই জায়গা থেকে শুধু আমাদের নয় প্রতিটি মন্ত্রণালেয়ে এটা করা হবে। তাই শেখ হাসিনা জাতীয় যুব ইনস্টিটিউটের নাম পরিবর্তন করে আমরা এটি—বাংলাদেশ জাতীয় যুব ইনস্টিটিউট করছি। দ্রুতই এটা সম্পন্ন করা হবে।’
এদিকে দেশজুড়ে অস্থিরতার কারণে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ মাঠে গড়ানো নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়েছে। এ নিয়ে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা বলেন, এরই মধ্যে আমরা বিসিবির সঙ্গে কথা বলেছি। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। এই বিষয়ে আমাদের কিছু কাজ করতে হবে।
‘আমি আজকেই প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে এই বিষয়ে কথা বলব। তিনি যেহেতু একজন ক্রীড়াপ্রেমী মানুষ। তিনি অবশ্যই আমাদের সহায়তা করবেন। আমরা এই বিষয়ে সবার সঙ্গেই কথা বলব। কিছু দেশের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আছে, সেগুলো যাতে দ্রুত সমাধান করা যায়।’
এ ছাড়াও অবকাঠামোগত উন্নয়নের বিষয়ে তিনি বলেন, আমাদের যে কাজগুলো চলমান আছে, সেগুলো যাতে দ্রুত শেষ করা যায় সেই বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া হবে। আর বিসিবির বিষয়ে বলতে চাই, তারা যেহেতু একটি স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, তাদেরকে আমরা তো আর নিয়ন্ত্রণ করতে পারব না। আমরা তাদেরকে পরামর্শ দেওয়া ও নিতে পারব।
‘আর বিসিবির সভাপতি অনুপস্থিত আছেন। অবশ্যই একটা সংস্থাকে কাজ করতে হলে সবার উপস্থিতি প্রয়োজন। সভাপতির মতো গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে যেহেতু তিনি অনুপস্থিত আছেন, তাই আমরা বিসিবির যারা পরিচালক আছেন, তাদের সঙ্গে কথা বলেছি।’
‘তারা আইসিসির আইন মেনে যেটা করার, সেটাই করবেন। অন্তর্বর্তীকালীন সময়ের জন্য কাউকে নিয়োগ দেওয়া যায় কিনা সেই বিষয়টিও দেখতে বলেছি।’