নাটোরের লালপুরে মো. আরিফুল রহমান আনিছ নামের এক ভুয়া চক্ষু চিকিৎসককে আটক করেন শিক্ষার্থীরা। পরে যাচাই-বাছাই করে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে তাকে এক মাসের কারাদণ্ড ও পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করে উপজেলা প্রশাসন।
শুক্রবার (১৬ আগস্ট) সকালে ঢাকা পোস্টকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন লালপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মেহেদী হাসান।
এর আগে বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) রাতে লালপুর উপজেলার গার্লস হাই স্কুল মার্কেটের বর্ণালি চশমা ঘরে এই ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও শিক্ষার্থীরা জানান, লালপুরে দীর্ঘদিন ধরে আরিফুল রহমান নিজেকে চক্ষু চিকিৎসক হিসেবে দাবি করে চিকিৎসা দিয়ে আসছেন। এভাবে তিনি সাধারণ রোগীদের কাছ থেকে প্রতারণা করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। গতকাল স্থানীয় শিক্ষার্থীরা তার চিকিৎসক সনদ ও লেখাপড়া নিয়ে জানতে চাইলে তিনি এর সদুত্তর দিতে পারেননি। পরে শিক্ষার্থীরা তাকে আটক করে প্রশাসনকে জানান।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে লালপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মেহেদী হাসান ঢাকা পোস্টকে বলেন, গতকাল সন্ধ্যার পরে শিক্ষার্থীদের মাধ্যমে বিষয়টি জানতে পারি। পরে সেখানে পুলিশ ও মেডিকেল অফিসারকে পাঠাই। মেডিকেল অফিসার নিশ্চিত করেন ওই ব্যক্তির চিকিৎসক সনদসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নেই। পরে অভিযুক্ত ব্যক্তিও তার অপরাধ স্বীকার করেন। পরে সেখানে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে তাকে এক মাসের কারাদণ্ড ও পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।