মহামারি করোনার পর এবার এমপক্স ভাইরাসের কারণে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মানুষের মৃত্যু হচ্ছে। যাবতীয় ভাইরাস থেকে নিজে ও পরিবারকে নিরাপদ রাখতে নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দোয়া শিখিয়ে দিয়েছেন।
সঠিক চিকিৎসার পাশাপাশি এ দোয়াগুলো পাঠ করা যায়। হজরত আব্দুল আজিজ (রহ.) বর্ণনা করেন, ‘আমি ও সাবিত একবার হজরত আনাস ইবনু মালিক (রা.)-এর কাছে গেলাম। সাবিত বললেন, হে আবু হামজা! আমি অসুস্থ হয়ে পড়েছি। তখন আনাস (রা.) বললেন, আমি কি তোমাকে নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যা দিয়ে অসুস্থ ব্যক্তিকে ফুঁক দিয়েছিলেন তা দিয়ে ফুঁক দেবো? তিনি বললেন, ‘হ্যাঁ’। তখন আনাস (রা.) পড়লেন,
اللَّهُمَّ رَبَّ النَّاسِ مُذْهِبَ الْبَاسِ اشْفِ أَنْتَ الشَّافِي لاَ شَافِيَ إِلاَّ أَنْتَ شِفَاءً لاَ يُغَادِرُ سَقَمًا (উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা রাব্বান-নাসি, মুজহিবাল বাসি, ইশফি আনতাশ-শাফি, লা শাফিয়া ইল্লা আনতা শিফায়ান লা ইয়ুগাদিরু সাকামা।) (বুখারি; মুসলিম)
অর্থ: হে আল্লাহ! আপনি মানুষের রব, রোগ নিরাময়কারী। (আপনি) আরোগ্য দান করুন, আপনি আরোগ্য দানকারী। আপনি ছাড়া আর কেউ আরোগ্য দানকারী নেই। এমন আরোগ্য দান করুন, যা কোনো রোগ অবশিষ্ট রাখে না।
কারও জটিল বা কঠিন রোগ হলে অবশ্যই চিকিৎসা গ্রহণ করতে হবে। তবে পাশাপাশি রসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের শেখানো দোয়াগুলোর আমলও যথাযথভাবে করা জরুরি। আর তাতে মহান আল্লাহর অনুগ্রহে মানুষ রোগ-ব্যাধি থেকে দ্রুত সুস্থতা লাভ করবে ইনশাআল্লাহ।
আরেকটি দোয়া, যা পবিত্র কোরআনে বর্ণিত হয়েছে —
اَنِّیۡ مَسَّنِیَ الضُّرُّ وَ اَنۡتَ اَرۡحَمُ الرّٰحِمِیۡنَ (উচ্চারণ: আন্নি মাছছা নিয়াদ দুররু ওয়া আনতা আরহামুর রহিমীন।) (সুরা আম্বিয়া: ৮৩)
অর্থ: আমি দুঃখ-কষ্টে পড়েছি, আর তুমি তো দয়ালুদের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ দয়ালু।
ধৈর্যের মূর্ত প্রতীক ছিলেন হজরত আইয়ুব (আ.)। বছরের পর বছর শারীরিক ও আর্থিক কষ্টে ভুগেও মহান আল্লাহর প্রতি পরিপূর্ণ কৃতজ্ঞ ছিলেন তিনি। পবিত্র কোরআনে চারটি সুরার আটটি আয়াতে আইয়ুব (আ.)-এর কথা এসেছে। পবিত্র কোরআন থেকে জানা যায় যে, তিনি দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত হয়ে ধৈর্য ধরে যান এবং অবশেষে আল্লাহর কাছে দোয়া করে রোগ থেকে মুক্তি পান। এই অসুস্থতার দিনগুলোতে তার সন্তান-সন্ততি, বন্ধু-বান্ধব সবাই উধাও হয়ে গিয়েছিল। এরপর মহান আল্লাহ তাকে সুস্থতা দান করেন।