ভারতজুড়ে যখন কলকাতার নারী চিকিৎসককে ধর্ষণ-খুনের প্রতিবাদ চলছে তখন সামনে এলো আরেক নৃশংসতার খবর। বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) দেশটির আসাম রাজ্যে ১৪ বছর বয়সী এক কিশোরীকে ধর্ষণের পর রাস্তার পাশে ফেলে রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
ভারতীয় গণমাধ্যম বলছে, আসামের নগাঁও জেলার এই ঘটনায় ভুক্তভোগী কিশোরী দশম শ্রেণির ছাত্রী। কোচিং থেকে ফেরার পথে তিনি ধর্ষণের শিকার হন। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, ওই ছাত্রীকে রাস্তার পাশে একটি পুকুরের কাছে আধা-চেতন অবস্থায় পাওয়া যায়, পাশেই ছিল তার সাইকেল। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। পুলিশ তাকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। এর আগে প্রায় এক ঘণ্টা রাস্তার পাশে পড়ে ছিলেন ওই কিশোরী।
জানা গেছে, হাসপাতালে কিশোরীটির চিকিৎসা চলছে। তবে সে এখনো পুরোপুরি সুস্থ হয়ে ওঠেনি। এ ছাড়া ওই কিশোরী ধর্ষণ বা অন্য কোনো শারীরিক আক্রমণের শিকার হয়েছে কি না, সে বিষয়েও বিস্তারিত প্রতিবেদন এখনো আসেনি।
স্থানীয় এক ব্যক্তি নাম প্রকাশ না করার শর্তে গণমাধ্যমকে বলেন, ‘কিশোরীটি রাস্তার পাশে পড়ে ছিল। আমরা তার কাছে জানতে চাই কি ঘটেছে। কিন্তু সে ঠিকমতো কথা বলতে পারছিল না। সে কেবল এটুকু জানিয়েছে, তিন কিশোর তাকে ধর্ষণ করেছে।
এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে নগাঁওয়ের নাগরিক সমাজ বিক্ষোভ করেছে। আন্দোলনকারীরা বলেছেন, “এটি একটি নৃশংস ঘটনা। একজন নাবালিকাকে তিনজন ধর্ষণ করেছে। আমরা পুলিশকে আহ্বান জানায়, অবিলম্বে তাদের আটক করা হোক। আমরা পুলিশের নিষ্ক্রিয়তার প্রতিবাদ করছি এবং বনধের ডাক দিয়েছি। যতক্ষণ পর্যন্ত অপরাধীরা জেলে না যাচ্ছে, ততক্ষণ পর্যন্ত এই আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।”