হামলা চালিয়ে কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে আসামি ছিনিয়ে নেওয়া হবে। আর এটি করা হবে এক সপ্তাহের মধ্যে। গাজীপুরের কোনাবাড়ী থানার ওসিকে কল করে এমন তথ্য জানানো হয়। ওই কলের পরই কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কারাগারসহ গাজীপুরের সব কারাগারের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, কোনাবাড়ীর ওসির কাছে কলটি আসে গত ২১ আগস্ট। হোয়াটসঅ্যাপে কল করে ওসিকে জানানো হয়, ‘দুষ্কৃতকারীরা আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে যে কোনো সময় কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারের দেয়ালের পাশ দিয়ে আক্রমণ করে বন্দি আসামিদের ছিনিয়ে নেওয়াসহ অপ্রীতিকর পরিবেশ সৃষ্টি করতে পারে।’ এ ঘটনায় ২৩ আগস্ট কোনাবাড়ী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়। এরপর গাজীপুরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সালমা খাতুন ২৫ আগস্ট সব কারাগারে নিরাপত্তা জোরদার করার নির্দেশ দেন।
নিরাপত্তা জোরদারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কারা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত আইজিপি (প্রিজন) কর্নেল শেখ সুজাউর রহমান। তিনি কালবেলাকে বলেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে কারাগারগুলোর নিরাপত্তার ব্যাপারে অধিকতর সতর্কতা প্রয়োজন বলে জানানো হয়েছে। পরে কারাগারের নিরাপত্তায় সেনাসদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।
গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর সারা দেশের ৬৮ কারাগারে বিশৃঙ্খলা ও বিদ্রোহ হয়। ওই সময় কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কারাগার থেকে ২০৩ জন আসামি পালিয়ে যায়। অন্যদিকে জামালপুর কারাগার, রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগার, শেরপুর কেন্দ্রীয় কারাগার, ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারসহ বিভিন্ন কারাগারে বিশৃঙ্খলা ও বিদ্রোহ তৈরি করে দুই সহস্রাধিক বন্দি পালিয়ে যায়।
কারা অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, পালিয়ে যাওয়া বন্দিদের মধ্যে জঙ্গিও রয়েছে। তার মধ্যে নরসিংদী কারাগার থেকে পালানো ৮২৬ বন্দির মধ্যে ৯ জন ছিল জঙ্গি। ইতোমধ্যে তাদের তিনজন ধরা পড়েছে। এ ছাড়া পলাতক বন্দিদের মধ্যে ১ হাজার ১৯৮ জনকে কারা কর্তৃপক্ষ ফের ধরতে সক্ষম হয়েছে। বাকিদের ধরতেও কারা কর্তৃপক্ষ সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।