27 C
Dhaka
Tuesday, September 17, 2024

নারী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় তিনটি ফোনালাপ ভাইরাল

ভারতের পশ্চিমবঙ্গে নারী চিকিৎসকের মরদেহ উদ্ধারের দিন হাসপাতাল থেকে যে ফোন পেয়েছিলেন, তা আগেই জানিয়েছিলেন ভুক্তভোগীর বাবা-মা। এবার প্রকাশ্যে এলো তিনবার ফোনে কথোপকথনের অডিও। সম্ভবত মরদেহ উদ্ধারের পর এটিই ‘প্রথম ফোনকল’ হাসপাতালের।

যদিও সেই অডিওর সত্যতা যাচাই করেনি ভারতীয় গণমাধ্যম সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল।

শুক্রবার (৩০ আগস্ট) এ সংক্রান্ত এক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল।

ভাইরাল হওয়া প্রথম অডিওটিতে একটি মহিলা এবং পুরুষ কণ্ঠের কথোপকথন শোনা গেছে।

পুরুষ কণ্ঠ: কেন কী বলছেন?
নারী কণ্ঠ: আরজি কর মেডিকেল কলেজ থেকে বলছিলাম।
পুরুষ কণ্ঠ: কেন কী হয়েছে?
নারী কণ্ঠ: ওর একটু শরীরটা খারাপ হয়েছে। আপনি এক্ষণি আসতে পারবেন?
পুরুষ কণ্ঠ: কেন কী হয়েছে কী?
নারী কণ্ঠ: ওর শরীরটা খারাপ। আমরা ভর্তি করাচ্ছি। আপনারা ইমিডিয়েট আসতে পারবেন?
পুরুষ কণ্ঠ: কেন কী হয়েছে কী?
নারী কণ্ঠ: সেটি তো ডাক্তাররা বলবে আপনারা এলে। আপনার নম্বরটা জোগাড় করলাম, করে জানালাম যে বাড়ির লোক হিসেবে তাড়াতাড়ি আসুন।
পুরুষ কণ্ঠ: কী হয়েছে সেটি বলো না তুমি।
নারী কণ্ঠ: পেশেন্টের শরীরটা খারাপ। ভর্তি হয়েছে হাসপাতালে। বাকিটা আপনারা এলে, ডাক্তার বলবেন।
অন্য নারী কণ্ঠ: ওর কী জ্বর হয়েছে?
নারী কণ্ঠ: আপনারা একটু আসুন। জলদি চলে আসুন। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আসবেন।
পুরুষ কণ্ঠ: কেন ওর কী খুব অবস্থা খারাপ?
নারী কণ্ঠ: খুব অবস্থা খারাপ। তাড়াতাড়ি চলে আসুন।

আরো পড়ুন  ইরানের প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট হতে চান কে এই জোহরে?

ভাইরাল হওয়া দ্বিতীয় অডিওটিতে একটি মহিলা এবং পুরুষ কণ্ঠের কথোপকথন শোনা গেছে।

পুরুষ কণ্ঠ: কী হয়েছে কী সেটি বলো না একটু।
নারী কণ্ঠ: ওর অবস্থা খুবই খারাপ। যত তাড়াতাড়ি পারেন, চলে আসুন একটু।
পুরুষ কণ্ঠ: কী হয়েছে সেটি বলো না!
নারী কণ্ঠ: সেটি তো ডাক্তার বলবে, আপনারা তাড়াতাড়ি একটু চলে আসুন না।
পুরুষ কণ্ঠ: আপনি কে বলছেন বলুন তো?
নারী কণ্ঠ: আমি অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপার বলছি। ডাক্তার বলছি না।
পুরুষ কণ্ঠ: ডাক্তার নেই ওখানে কেউ?
নারী কণ্ঠ: আপনার মেয়েকে আমরা ইমার্জেন্সিতে নিয়ে এসেছি। আপনারা আসুন। এসে যোগাযোগ করুন।
অপর নারী কণ্ঠ: কী হয়েছিল কী? ও তো ডিউটিতে ছিল।
নারী কণ্ঠ: আপনারা জলদি চলে আসুন। যতটা তাড়াতাড়ি পারবেন। শুনুন আপনাকে তখন বারবার বলছিলাম। ব্যাপারটা হচ্ছে যে আপনার মেয়ে উনি সুইসাইড করেছেন হয়তো। বা মারা গেছে। পুলিশ রয়েছে। আমরা হসপিটালে সবার সামনেই রয়েছি। ফোন করছি। আপনারা যত তাড়াতাড়ি পারবেন চলে আসুন।

আরো পড়ুন  বাংলাদেশে চলমান পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্রকে আন্তর্জাতিক উদ্যোগ নিতে ১৯ আইনপ্রণেতার চিঠি

ভাইরাল হওয়া তৃতীয় অডিওটিতে একটি পুরুষ এবং নারী কণ্ঠের কথোপকথন শোনা গেছে।

পুরুষ কণ্ঠ: হ্যালো।
নারী কণ্ঠ: হ্যাঁ বলুন!
পুরুষ কণ্ঠ: আমি আইসি আরজি কর বলছিলাম। আচ্ছা আপনারা আসছেন তো?
মহিলা কণ্ঠ: হ্যাঁ, একদম আসছি। কেমন আছে শরীর?
পুরুষ কণ্ঠ: আপনারা আসুন। আসলে কথা হবে। আরজি কর হাসপাতালে আসুন। চেস্ট ডিপার্টমেন্টের এইচওডি স্যারের কাছে আসুন।
নারী কণ্ঠ: হ্যাঁ।
পুরুষ কণ্ঠ: আসুন।

আরো পড়ুন  দুই ট্রেনের সংঘর্ষে নিহত পাঁচ, আহত ২৫

এই অডিও ক্লিপসগুলোর সত্যতা যাচাই করেনি সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল। অবশ্য, ভাইরাল হওয়া এই ফোনকল সম্পর্কে কিছু জানা নেই বলেই দাবি নির্যাতিতার বাবা-মায়ের।

প্রসঙ্গত, এ মাসের শুরুর দিকে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের ১৩৮ বছরের পুরোনো আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের এক চিকিৎসককে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুসারে, টানা ৩৬ ঘণ্টা ডিউটির পর সেদিন রাত ২টা নাগাদ প্রথম বর্ষের ছাত্রীদের সঙ্গে ডিনার করেন ওই তরুণী। এরপর সেমিনার রুমে বিশ্রাম নিতে গিয়েছিলেন উত্তর চব্বিশ পরগনার বাসিন্দা ওই ট্রেনিং চিকিৎসক। সেখান থেকেই পরদিন সকালে তার অর্ধনগ্ন, ক্ষতবিক্ষত মরদেহ উদ্ধার হয়। এ ঘটনায় ক্ষোভে ফেটে পড়েন পশ্চিমবঙ্গের সাধারণ মানুষ। এর বিচার চেয়ে তারা রাস্তায় আন্দোলনে নামেন।

সর্বশেষ সংবাদ