পড়াশোনায় মোটেও মনোযোগ নেই। তাই রেজাল্ট খারাপ হয়েছে। এজন্য এক ছাত্রকে বকাঝকা করেন স্কুলের রসায়নের শিক্ষক। তার বাবা-মাকে স্কুলে নিয়ে আসতে নির্দেশ দেন। এরপর সেদিনই বিকেলে স্কুলের পোশাক ছাড়া আসে ওই শিক্ষার্থী। এরপর সে ছুরি দিয়ে ওই শিক্ষককে উপর্যুপুরি আঘাত করতে থাকে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ওই ছাত্রস্কুলের পোশাক ছাড়া আসে। তখন রসায়নের শিক্ষক তাকে বেরিয়ে যেতে বলেন। কিন্তু সে কথা না শোনায় তাকে জোরে ধমক দেন শিক্ষক। এরপরই ছুরি নিয়ে শিক্ষকের ওপর হামলে পড়ে ওই ছাত্র।
ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের আসামে। একাদশ শ্রেণির ওই শিক্ষার্থীর ছুরি হামলায় মৃত্যৃ হয়েছে ওই শিক্ষকের। খবর ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির।
এনডিটিভি জানিয়েছে, ৬ জুলাই শুক্রবার শিবসাগর বিভাগে এ ঘটনা ঘটেছে। নিহত ওই শিক্ষকের নাম রাজেশ বড়ুয়া বেজাওয়াদা। তিনি রসায়ন পড়াতেন। ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে প্রত্যক্ষদর্শী শিক্ষার্থীরা জানায়, ধমক খেয়ে ওই ছাত্র ছুরি দিয়ে স্যারের মাথায় আঘাত করে। স্যার মেঝেতে পড়ে যান। তার শরীর থেকে প্রচুর রক্ত বের হচ্ছিল। হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
শিক্ষক রাজেশ প্রাইভেট ওই স্কুলে রসায়ন পড়ানোর পাশাপাশি ম্যানেজেরিয়াল পোস্টে দায়িত্বরত ছিলেন। স্কুলের একজন স্টাফ জানান, রাজেশ আসামের স্থানীয় বাসিন্দা ছিলেন না। তার জন্মস্থান অন্ধ্রপ্রদেশে। আর স্কুলটি আসামের শিবাসাগরে অবস্থিত।
জানা গেছে, ছুরি হামলার দিন রাজেশ ওই শিক্ষার্থীকে বকাঝকা করেন। তার বাবা-মাকে স্কুলে নিয়ে আসতে নির্দেশ দেন। এরপর সেদিনই বিকেলে স্কুলের পোশাক ছাড়া ক্লাসরুমে আসে শিক্ষার্থীটি। তখন রাজেশ ওই ছাত্রকে ক্লাস থেকে বের হয়ে যেতে বলতেই তাকে উপর্যুপুরি আঘাত করতে থাকে।
১৬ বছর বয়সী ওই শিক্ষার্থীকে আটক করেছে পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, গণিতের ক্লাস শেষ হয়ে যাওয়ার পর স্কুল থেকে চলে যায় ওই ছাত্র। পরে পোশাক বদলে আবার স্কুলে আসে। সে ক্লাসের শেষ বেঞ্চে বসে ছিল।
রাজেশ কয়েক বার ওই ছাত্রকে ক্লাস থেকে বেরিয়ে যেতে বলেন। এরপরই হামলা করে বসে ওই ছাত্র। এ ঘটনার তদন্তে নেমে ঘটনাস্থল ও সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখছে পুলিশ।