27 C
Dhaka
Tuesday, September 17, 2024

বিয়ের দাবিতে প্রেমিক আ. লীগ নেতার বাড়িতে কলেজছাত্রী

টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে বিয়ের দাবিতে আওয়ামী লীগ নেতার বাড়িতে অবস্থান নিয়েছেন এক কলেজছাত্রী। শনিবার (৩১ আগস্ট) বিকেলে বাঁশতৈল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি লাল মিয়াকে বিয়ের দাবিতে তার বাড়িতে দ্বিতীয়বারের মত অবস্থান নিয়েছেন কলেজছাত্রী। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে উৎসুক জনতা ভিড় করছেন ওই বাড়িতে।

জানা যায়, গত সাত বছর আগে বাঁশতৈল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি লাল মিয়ার সঙ্গে ওই কলেজছাত্রীর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। বিয়ের প্রলোভনে তাদের মধ্যে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে উঠে। ওই কলেজছাত্রী বিয়ের তাগিদ দিলে নানা অজুহাতে এড়িয়ে যান লাল মিয়া। এ নিয়ে স্থানীয়ভাবে একাধিকবার সালিশ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সালিশে ওই ছাত্রীকে বিয়ের আশ্বাস দিলেও বিয়ে করছেন না। কোনো উপায় না পেয়ে গত ২৩ জুলাই সকালে বিয়ের দাবিতে লাল মিয়ার বাড়িতে অবস্থান নেন ওই কলেজছাত্রী। এ সময় লাল মিয়ার স্ত্রী ঝাড়ু দিয়ে পিটিয়ে কলেজছাত্রীকে ঘর থেকে বের করে দেন। স্থানীয়দের চাপে লাল মিয়া ওই ছাত্রীকে বিয়ের কথা বলে মোটরসাইকেল যোগে বের হন। পরে ওই ছাত্রীকে তাদের বাড়িতে রেখে কাজি আনার কথা বলে লাল মিয়া পালিয়ে যান।

আরো পড়ুন  ঘূর্ণিঝড় রিমাল ঘূর্ণিঝড় দেখতে সাগরপাড়ে পর্যটকদের ভিড়

এরপর শুক্রবার (৩০ আগস্ট) বিকেলে লাল মিয়া ওই কলেজছাত্রীকে নিয়ে পার্শ্ববর্তী আজগানা ইউনিয়নের চিতেশ্বরী গ্রামে ঘুরতে যান এবং চিতেশ্বরী গ্রামের কলেজছাত্রীর ফুপুর বাড়িতে যান। সেখানে বিয়ের দাবি করা হলে লাল মিয়া তার বড় স্ত্রীসহ আত্মীয়দের খবর দিয়ে ওই বাড়িতে নেন। তারা গিয়ে শনিবার বাঁশতৈল পরিষদে বিয়ে পড়ানো হবে বলে চলে আসেন। লাল মিয়া কলেজছাত্রীর সঙ্গে ওই বাড়িতে রাত্রিযাপন করেন।

আরো পড়ুন  দিনাজপুরে ট্রাকচাপায় পুলিশ কর্মকর্তা নিহত

শনিবার সকালে বাঁশতৈল ইউনিয়ন পরিষদে এ বিষয়ে সালিশ বসে। সেখানে হেলাল নামে স্থানীয় এক বিচারক লাল মিয়াকে কৌশলে পালাতে সহায়তা করেন। বিকেলে ওই কলেজছাত্রী বিয়ের দাবিতে লাল মিয়ার বাড়িতে অবস্থান নেয়। বাড়ির উঠানে বসে রাত্রিযাপন করেন। খবর পেয়ে উৎসুক জনতা ভিড় করছেন ওই বাড়িতে। এদিকে লাল মিয়ার স্ত্রী ও শাশুড়িকে বারান্দায় তালা দিয়ে ঘরে অবস্থান করতে দেখা গেছে।

লাল মিয়ার স্ত্রী বলেন, বিয়ে না করিয়ে অন্যভাবে মেয়েটিকে তার বাড়ি থেকে তাড়াতে বলেন। লাল মিয়ার মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও সেটি বন্ধ পাওয়া যায়।

আরো পড়ুন  নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে আরাকান আর্মির গুলিতে বাংলাদেশি নিহত

রোববার ওই কলেজছাত্রী বলেন, সারারাত লাল মিয়ার বাড়ির ওঠানে বসে রাত্রিযাপন করেছি। মশার কামড় খেয়েছি। স্থানীয় লোকজন আমার এই অবস্থা দেখতে আসে। কেউ সমাধান করতে আসে না। আমি লাল মিয়াকে স্বামী হিসেবে পেতে চাই।

বাঁশতৈল ইউপি চেয়ারম্যান হেলাল দেওয়ান বলেন, লাল মিয়া এবং ওই কলেজছাত্রীর বিয়ের বিষয়ে একাধিকবার সালিশ বৈঠক হয়েছে। সালিশে বিয়ে করতে রাজি হলেও পারিবারিক চাপে এরিয়ে চলছেন লাল মিয়া। শনিবার সকালেও ইউপি কার্যালয়ে তাদের ব্যাপারে সালিশ বসে। সালিশ থেকে লাল মিয়া কৌশলে চলে যাওয়ায় শেষ করা সম্ভব হয়নি। বিয়ের দাবিতে কলেজছাত্রী বাড়িতে অবস্থান নেয়া লাল মিয়ার কৌশলও হতে পারে বলে তিনি মন্তব্য করেন।

সর্বশেষ সংবাদ