27 C
Dhaka
Friday, July 5, 2024

আবাসিক হোটেল থেকে মা ও শিশু সন্তানের মরদেহ উদ্ধার

বগুড়ায় একটি আবাসিক হোটেল থেকে মা ও তার ১১ মাস বয়সী ছেলের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।রোববার (২ জুন) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শহরের বনানী এলাকার শুভেচ্ছা আবাসিক হোটেলের একটি কক্ষ থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। শনিবার দিবাগত রাতের কোনো এক সময় তাদের খুন করা হয়েছে বলে ধারণা পুলিশের। এ ঘটনায় নিহতের স্বামী আজিজুলকে আটক করা হয়েছে।

নিহতরা হলেন- আশা মনি ও তার শিশু ছেলে আবদুল্লাহ হেল রাফি। আশা মনির স্বামীর বাড়ি বগুড়ার ধুনট উপজেলায়। বাবার বাড়ি বগুড়ার নারুলী এলাকায়। আশা মনির স্বামীর নাম আজিজুল হক। তিনি সেনা সদস্য হিসেবে চট্টগ্রামে চাকরি করেন। তারা গতকাল শনিবার দিবাগত সন্ধ্যা সাতটার দিকে তমা ও মিরাজ পরিচয়ে হোটেলে ওঠেন। বাড়ি উল্লেখ করা হয় রংপুরের পীরগঞ্জ।

আরো পড়ুন  অবশেষে গর্তে মিলল দুই খালাতো ভাইয়ের মরদেহ

হোটেল কর্তৃপক্ষ ও পুলিশ জানায়, প্রায় তিন বছর আগে আজিজুলের সঙ্গে বিয়ে হয় আশা মনির। তাদের সংসারে ১১ মাস বয়সী এক ছেলে সন্তান রয়েছে। সন্তান হওয়ার পর থেকেই আশা তার বাবার বাড়িতে থাকেন। এর মধ্যে দুই মাসের ছুটিতে বাড়ি আসেন আজিজুল। ছুটি শেষে শনিবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রামে যাওয়ার কথা তার। কিন্তু এর মধ্যে সন্ধ্যা সাতটার দিকে বনানীর ওই হোটেলে ওঠেন তারা। পরে রাত সাড়ে নয়টার দিকে হোটেল থেকে বের হন আজিজুল। এ সময় তার সন্তানের মাথা করতোয়া নদীতে ফেলে দেন। পরে তার বউ ও ছেলে হারিয়ে গেছে বলে শ্বশুরকে সঙ্গে নিয়ে বগুড়া শহরের বিভিন্ন এলাকায় খোঁজাখঁজি করেন।

আরো পড়ুন  ঘূর্ণিঝড় রেমাল: মোবাইলের আলোতে ২ নবজাতকের জন্ম

হোটেলের ম্যানেজার রবিউল ইসলাম জানান, সকালে হোটেলে এসে আজিজুল জানান তিনি হোটেলের রুম ছেড়ে দিবেন। এই সময় ম্যানেজার রুম বুঝিয়ে চাইলে তালবাহানা শুরু করে আজিজুল। ম্যানেজার চাপাচাপি করলে এক পর্যায়ে হত্যার কথা স্বীকার করেন আজিজুল।

আশা মনির বাবা আশাদুল ইসলাম জানান, আমার মেয়েকে ও নাতিকে যৌতুকের জন্য হত্যা করা হয়েছে। আজিজুলের ফাঁসি চাই।

আরো পড়ুন  বাগেরহাটে নদীতে গোসল করতে নেমে শিশু নিখোঁজ

বগুড়ার পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্ত্তী জানান, আজিজুল একজন সেনা সদস্য। তার স্ত্রী ও সন্তানকে হোটেল কক্ষে শনিবার রাতের বেলায় কোনো এক সময় পরিকল্পতভাবে হত্যা করেছে। এ ঘটনায় মামলা হবে। সেই মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হবে।

সর্বশেষ সংবাদ