চলতি সেপ্টেম্বর মাসেই বাংলাদেশে হওয়ার কথা ছিল নারীদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আসর। কিন্তু দেশে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর বর্তমান পরিস্থিতিতে এমন একটি বৈশ্বিক আসর আয়োজন কঠিন। সেটি অনুধাবন করেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) এই আসরটি সরিয়ে নেয় সংযুক্ত আরব আমিরাতে। ঢাকা ও সিলেটের দুই স্টেডিয়ামে হওয়ার কথা ছিল ১০ দল ও ২৩ ম্যাচের এই বিশ্বকাপের আসর।
এদিকে আগামী ২৫-২৯ সেপ্টেম্বর ঢাকায় ৪০ দেশের অংশগ্রহণে কমনওয়েলথ কারাতে চ্যাম্পিয়নশিপ হওয়ার কথা ছিল। এবার একই কারণে কারাতে চ্যাম্পিয়নশিপের ভেন্যু বদলেছে। বাংলাদেশের ঢাকার বদলে সেই টুর্নামেন্ট এখন হবে দক্ষিণ আফ্রিকার ডারবানে।
বাংলাদেশ থেকে টুর্নামেন্টটির ভেন্যু পরিবর্তন হওয়ায় বদলে গেছে প্রতিযোগিতার সময়ও। দক্ষিণ আফ্রিকার ডারবানে ২৭ নভেম্বর – ২ ডিসেম্বর কমনওয়েলথ কারাতে চ্যাম্পিয়নশিপের নতুন সূচি ঠিক হয়েছে। ভেন্যু বদলে যাওয়ায় বাংলাদেশের অংশগ্রহণও অনিশ্চিত। এমনটাই বললেন ফেডারেশনের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নয়না চৌধুরী।
নয়না চৌধুরী বলেন, ‘আসলে আমাদের দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতির জন্য জুলাইয়ের শেষের দিকে ভেন্যু পরিবর্তন হয়ে দক্ষিণ আফ্রিকায় স্থানান্তরিত হয়। দক্ষিণ আফ্রিকায় গিয়ে অংশগ্রহণে অনেক অর্থের প্রয়োজন। আর্থিক বিষয়ে আগে সাধারণ সম্পাদক সহায়তা করতেন তিনিও এখন নেই। ফলে অংশগ্রহণ বেশ কঠিনই।’
টুর্নামেন্টটি আয়োজনের জন্য বাংলাদেশ প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি গ্রহণ করেছিল। মিরপুরের শহীদ ইনডোর স্টেডিয়ামের ম্যাট, পদকের নমুনা সহ আরো অনেক বিষয় বাংলাদেশ কারাতে ফেডারেশন কিছু খরচও করেছে। ভেন্যু বাতিল হওয়ায় খানিকটা ক্ষতিও হচ্ছে বললেন ফেডারেশনের কোষাধ্যক্ষ আজাদ,‘ আমরা কয়েক লাখ টাকা ব্যয় করেছিলাম চ্যাম্পিয়নশীপ প্রস্তুতি হিসেবে। ভেন্যু বাতিল হওয়ায় সেটা পুরোপুরি পূরণ বা সদ্বব্যবহার সম্ভব নয়।’
২০১৯ কাঠমান্ডু এসএ গেমসে কারাতে তিনটি স্বর্ণ জিতেছিল। পাচ বছর পর ফেডারেশন নিজস্ব উদ্যোগেই একটি বড় আসরের স্বাগতিক হওয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করেছিল। এই আসর হলে বাংলাদেশের কারাতেকারা পদক অর্জনের পাশাপাশি কারাতে ফেডারেশনেরও আর্থিকভাবে কিছুটা লাভবান হতে পারত।