মাঠ আর মাঠের বাইরে নানা ঘটনায় আলোচনায় থাকে দেশের ফুটবল। এসব আলোচনার বড় অংশজুড়ে থাকে বাফুফে কর্মকর্তারা। নেতিবাচক আলোচনার মাত্রা বেড়ে যায় বাফুফে নির্বাচন ঘনিয়ে এলে। লম্বা সময় পর কাজী সালাউদ্দিন বিহীন বাফুফে নির্বাচনে সভাপতি পদ নিয়েই সবার আগ্রহ ছিল, তবে সবাইকে অবাক করে সভাপতি পদে হেভিওয়েট প্রার্থীদের মধ্যে কেবল তাবিথ আউয়ালই তুলেছেন মনোনয়ন। তবে সিনিয়র সহসভাপতি পদে মনোনয়ন কিনেছেন দুই হেভিওয়েট প্রার্থী।
বাফুফে মনোনয়ন পত্র ক্রয়-বিক্রয় শেষে আলোচনায় এখন সিনিয়র সহসভাপতি পদ। এই পদে মনোনয়ন সংগ্রহ করেছেন বাফুফের বর্তমান সহসভাপতি ও বসুন্ধরা কিংসের সভাপতি ইমরুল হাসান। একই সঙ্গে সভাপতি পদে নির্বাচন করার ঘোষনা দেয়া সাইফ স্পোর্টিংয়ের স্বত্বাধিকারী তরফদার রুহুল আমিন সবাইকে অবাক করে দিয়ে সিনিয়র সহসভাপতি পদেই মনোনয়ন তুলেছেন। আর এতেই সৃষ্টি হয়েছে ইমরুল-তরফদার দ্বৈরথ।
ইমরুল হাসান ও তরফদার রুহুল আমিন দেশের ফুটবলাঙ্গনে খুব বেশি পুরোনো ও অভিজ্ঞ সংগঠক নন। তবে গত কয়েক বছরে নানা কর্মকাণ্ডে ফুটবলাঙ্গনে দুই জনই বেশ জনপ্রিয় হয়েছেন। তাই ফুটবলপ্রেমীরা প্রত্যাশা করেছিলেন, দুজনেই বাফুফেতে থেকে দেশের ফুটবলটাকে এগিয়ে নিবেন। তবে একই পদে মনোনয়ন নেওয়ায় দেশের ফুটবল বঞ্চিত হবে আস্থাভাজন কোনো এক সংগঠক থেকে।
জানা গেছে, ইমরূল হাসানকে বাফুফেতে রাখার জন্য সহসভাপতি পদে আরেকটি মনোনয়ন কেনার প্রস্তাব দেওয়া হয়োছিল। তবে তাতে তিনি সাড়া দেননি। আগে থেকেই সিনিয়র সভাপতি পদে নির্বাচন করবেন বলে দৃঢ় অবস্থানে আছেন। তবে ফুটবলাঙ্গনে এখনো রয়েছে গুঞ্জন, দুই জনের মধ্যে একজন জমা নাও দিতে পারেন আবার জমা দিলেও শেষ পর্যন্ত প্রত্যাহার করতে পারেন।
দেশের ফুটবলে তরফদার রুহুল আমিনের অবদান অসামান্য। নিজেই গঠন করেছিলেন সাইফ স্পোর্টিং ক্লাব, বাফুফেতে একটা করেছেন ব্যাপক স্পন্সর। শতকোটি টাকা ফুটবলে ব্যয় করেও ২০২০ সালে করতে পারেননি বাফুফে নির্বাচন। একইভাবে দেশের ফুটবলকে আধুনিকায়ন করতে ইমরুল হাসানেও রেখেছেন ব্যাপক অবদান। দেশের গন্ডি পেরিয়ে তার ক্লাব বসুন্ধরা কিংস এখন দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম সেরা ফুটবল ক্লাব। যার নেপথ্যের কারিগর ইমরূর হাসান। এছাড়া বাফুফের বর্তমান এ সহসভাপতি বিভিন্ন ক্লাব ও জেলা পর্যায়ে করেছেন আর্থিক সহায়তা।