নরওয়ের অসলো থেকে স্পেনের মালাগা যাওয়ার পথে স্ক্যান্ডিনেভিয়ান এয়ারলাইন্সের (এসএএস) একটি ফ্লাইট ডেনমার্কের কোপেনহেগেনে জরুরি অবতরণ করতে বাধ্য হয়েছে। বিমানের সরবরাহ করা খাবারে একজন যাত্রী জীবন্ত ইঁদুর খুঁজে পাওয়ার পর ফ্লাইটটি জরুরি অবতরণ করে। গত বুধবার স্ক্যান্ডিনেভিয়ান এয়ারলাইন্সের বিমানে চাঞ্চল্যকর এই ঘটনা ঘটেছে বলে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, যাত্রীর খাবারে জীবিত ইঁদুর পাওয়ার পর বিমানের গতিপথ পাল্টে কোপেনহেগেনে অবতরণ করা হয়। এসএএসর মুখপাত্র অয়েস্টেইন স্মিথ বলেছেন, যাত্রী ও ক্রুদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে ওই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। কোপেনহেগেনে ফ্লাইটটি অবতরণ করার পর ইঁদুরের খোঁজে বিমানে ব্যাপক তল্লাশি চালানো হয়।
বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, সাধারণত বিমানের ফ্লাইটে ইঁদুরের উপস্থিতির বিষয়ে কঠোর বিধি-নিষেধ থাকে। কারণ বৈদ্যুতিক তার চিবিয়ে কেটে ফেলতে পারে ইঁদুর।
অয়েস্টেইন স্মিথ বলেছেন, বিমানে এই ধরনের ঘটনা একেবারে বিরল। এমন পরিস্থিতির জন্য বিমানে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, যাতে আবারও একই ধরনের ঘটনা না ঘটে। এছাড়া আমাদের খাদ্য সরবরাহকারীদের সাথেও এ নিয়ে পর্যালোচনা করা হয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে স্ক্যান্ডিনেভিয়ান এয়ারলাইন্সের ওই ফ্লাইটের একজন যাত্রী লিখেছেন, বিশ্বাস করুন অথবা না করুন। এসএএসের ফ্লাইটে আমার পাশে বসা এক নারী তার খাবারের প্যাকেট খোলা মাত্রই একটি ইঁদুর লাফিয়ে পড়ল। এখন আমাদের ফ্লাইট ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছে। ফ্লাইট পরিবর্তনের জন্য আমরা কোপেনহেগেন বিমানবন্দরে অবতরণ করেছি।
ইঁদুরের বিষয়ে নিজের সতর্কতা অবলম্বনের কথাও পোস্টে লিখেছেন ওই যাত্রী। তিনি বলেছেন, ইঁদুর যাতে শরীরে উঠতে না পারে সেজন্য পায়ের মোজা প্যান্টের ওপরে টেনে দিয়েছেন তিনি। এই ঘটনা সত্ত্বেও ব্মিানের অন্য যাত্রীদের মাঝে কোনও ধরনের চাপের লক্ষণ দেখা যায়নি। বরং তারা শান্তভাবে ছিলেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
পরে স্ক্যান্ডিনেভিয়ান এয়ারলাইন্সের ওই ফ্লাইট কোপেনহেগেন বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করে। এর কয়েক ঘণ্টা পর নতুন একটি ফ্লাইটে করে যাত্রীদের স্পেনের মালাগা নিয়ে যাওয়া হয়।