‘স্বাধীনতা’ নতুন বলয়ে, নতুন অক্ষরে লেখা,
’৭১ দেখেনি নতুন প্রজন্ম, রক্তের বিনিময়ে দেখা।
অনেক সাঈদ আর মুগ্ধের বলিদান, নতুন স্বাধীনতার প্রাণ,
দেখে যাও মা তুমি, কী হোলি খেলা আর মহিমার অবদান।
লাখো জনতার কাতারে দাঁড়িয়ে, রাজপথ হলো উঠান,
মিছিলের নগরী উত্তাল জনপদ, মহাবিজয়ের জয়গান।
আঁধারে আলোতে-দিনের প্রহরে, মহাপ্রলয়ের আগমন,
মুক্তির মন্দিরে বিজয়ের নিশান, জেগেছে বিপ্লবী জনগণ।
মাফিয়ার দুর্গে দুর্গেশনন্দিনী, ভেঙে হলো খান খান,
তোমার অহংকার ধুলায় লুণ্ঠিত, উড়িছে বিজয় কেতন।
নির্মমতার পাষণ্ড হাতিয়ার, স্তব্ধ করছে জনগণ,
অস্ত্রবিহীন জনতার যুদ্ধ, বিজয়ের ভাষায় গরিয়ান।
বনে বাদাড়ে রাত্রি কেটেছে, মুক্তি পাগলের দল,
গুম, খুনের মগের মন্ত্রকে, গায়েবি মামলার ঢল।
কারাগারের অন্ধ প্রকোষ্টে, নির্যাতনের ইতিহাস,
সারা বিশ্ব স্তম্বিত হলো, জেনে সেইসব উপন্যাস।
নমস্য : হলো ছাত্র-জনতার, বিজয়ের অভ্যুত্থান,
মহাবীরেরা পদচিহ্ন এঁকে, হয়েছে মহীয়ান।
৩৬ জুলাই স্মরণ করি, বিপ্লবের মহাবন্ধনে,
যুগে যুগে তুমি প্রেরণাদায়িনী, মুক্তির অন্বেষণে।
তুমি এসো মাগো, পিতৃমন্দিরে, দোলায় আগমনে, বন্ধনা করি শান্তিদায়িনী, ঘোটকে নির্গমনে।
কবি : বিসিএস : প্রশাসন’ ৮২, সভাপতি। জগন্নাথ হল অ্যালামানাই অ্যাসোসিয়েশন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।