ভারতের তামিলনাড়ুতে দুটি ট্রেনের মধ্যে ভয়াবহ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার (১১ অক্টোবর) রাত ৮টা ৫০ মিনিটের দিকে চেন্নাই রেল বিভাগের পোন্নেরি-কাভারপেট্টাই স্টেশনে এ ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষের ঘটনায় যাত্রীবাহী ট্রেনের অন্তত ১২টি বগি লাইনচ্যুত হয় এবং ট্রেনের পার্সেলের বগিতে আগুন ধরে যায়।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির খবরে বলা হয়েছে, দাঁড়িয়ে থাকা একটি মালবাহী ট্রেনে ৭৫ কিলোমিটার বেগে চলতে থাকা একটি যাত্রীবাহী ট্রেন ধাক্কা দিলে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এতে অন্তত ১৯ জন আহত হয়েছেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতের কর্নাটক রাজ্যের মাইসোর থেকে বিহার রাজ্যের দ্বারভাঙ্গা পর্যন্ত চলাচলকারী মাইসোর-দ্বারভাঙ্গা বাগমতি এক্সপ্রেস তামিলনাড়ু রাজ্যের তিরুভাল্লুর জেলার কাবারাপেতাই রেলস্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকা একটি মালবাহী ট্রেনকে পেছন থেকে ধাক্কা দেয়। এতে ১২টি কোচ লাইনচ্যুত হয় এবং যাত্রীবাহী ট্রেনটির পাওয়ার কারেও আগুন ধরে যায়।
তিরুভাল্লুর জেলার ডিস্ট্রিক্ট কালেক্টর ড. টি প্রভুশঙ্কর জানান, যাত্রীবাহী ট্রেনটিতে দুর্ঘটনার সময় ১৩৬০ যাত্রী ছিল। তাদের মধ্যে ১৯ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে চারজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাদের নিকটস্থ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। এখনো পর্যন্ত প্রাণহানির কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
দুর্ঘটনার বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে ভারতীয় রেলওয়ের দক্ষিণাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক আরএন সিং বলেন, ট্রেনটি গুডুরের দিকে যাচ্ছিল। আরও এগিয়ে এটি অন্ধ্রপ্রদেশের দিকে যাচ্ছিল। দুর্ঘটনা ঘটা স্টেশনে গুডুরের দিকে যাওয়া একটি মালবাহী ট্রেন লুপ লাইনে দাঁড়ানো ছিল এবং যাত্রীবাহী ট্রেনটিকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছিল।
তিনি বলেন, এই ট্রেনের মেইন লাইন দিয়ে যাওয়ার কথা ছিল, কিন্তু মেইন লাইনের সিগন্যাল থাকার পরও ট্রেনটি লুপ লাইনে ঢুকে পড়ে। এটি পেছন থেকে মালবাহী ট্রেনকে ধাক্কা দেয় এবং ইঞ্জিন লাইনচ্যুত হয়।
এই লাইন হয়ে চলাচলকারী নির্ধারিত ট্রেনগুলোর মধ্যে ১৮টির যাত্রা বাতিল করা হয়েছে। দুর্ঘটনার তদন্ত করতে উচ্চপর্যায়ের কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছে রেলওয়ে। রেলওয়ে নিরাপত্তা কমিশনার এএম চৌধুরী দুর্ঘটনার সঠিক কারণ শনাক্ত করতে দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।