নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। উব্দাখালী নদীর পানি বিপৎসীমার নিচ দিয়ে বইছে। তবে বন্যার পানি নামতে শুরু করলেও ভেসে উঠছে ক্ষয়ক্ষতির চিত্র।
এদিকে উপজেলার সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, কৃষকদের কৃষি, মৎস্য, প্রাণিসম্পদ ও সড়ক বিভাগের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। উপজেলা কৃষি কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, এবারের বন্যায় উপজেলায় প্রায় ১৫ হাজার কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। চলতি বছর কৃষকদের ১৫ হাজার ২০০ হেক্টর আমন ধান ও ৩০০ হেক্টর জমির শাকসবজি তলিয়ে ছিল।
এর মধ্যে প্রায় ৮ হাজার হেক্টর জমির ফসলের ক্ষতি হয়েছে। এদিকে ৩০০ পুকুর তলিয়ে কৃষকদের প্রায় ৩ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানান সংশ্লিষ্ট মৎস্য কর্মকর্তা।
সরেজমিন কলমাকান্দা-বরুয়াকোণা সড়কে দেখা গেছে, সম্প্রতি বন্যার পানির স্রোতে খাসপাড়া নামক এলাকায় সড়ক ভেঙে গেছে। সড়কে বন্ধ রয়েছে যান চলাচল। এতে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে কলমাকান্দা সদরের সঙ্গে। ভাঙা অংশে মানুষ নৌকা দিয়ে পারাপার হচ্ছেন। এতে দুর্ভোগে পড়েছে রংছাতি ও খারনৈ ইউনিয়নের ১৫ গ্রামের মানুষ। তাই দ্রুত সড়কটি মেরামতের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
রংছাতি ইউপির কয়েকজন বাসিন্দা বলেন, পাহাড়ি ঢলে অনেক সড়ক ভেঙে গেছে। সেই সঙ্গে পচে গেছে আমন ধানের চারা ও সবজি ক্ষেত। ভেসে গেছে মাছের পুকুর। বিধ্বস্ত হয়েছে কয়েকটি ঘরবাড়ি। তবে পানি কমলেও দুর্ভোগ বাড়ছে।
কলমাকান্দা উপজেলা (এলজিইডি) প্রকৌশলী মো. মমিনুল ইসলাম বলেন, বন্যার পানি নামছে। এবার ক্ষতির পরিমাণ বেশি হয়েছে। আর ভাঙা ওই সড়কের সংস্কারের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।