মুসলিম প্রধান জম্মু-কাশ্মির নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত। ভোট শেষ হতেই জম্মু-কাশ্মির থেকে রাষ্ট্রপতি শাসন তুলে নিয়েছে দেশটির কেন্দ্রীয় সরকার।
ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। যেখানে গত পাঁচ বছর আগে জারি হওয়া রাষ্ট্রপতি শাসন তুলে নেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
উল্লেখ্য, দীর্ঘ ১০ বছর পর জম্মু-কাশ্মিরে নির্বাচন হয়। যে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে মানুষের মধ্যে উত্তেজনা ছিল। নির্বাচনে কংগ্রেস ও ন্যাশানাল কনফারেন্স জোট সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন পায়। এরপরেই ওমর আবদুল্লাহ লেফটেন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিনহার সঙ্গে দেখা করে সরকার গঠনের দাবি জানান। এরপরই জম্মু-কাশ্মির থেকে তুলে নেওয়া হলো রাষ্ট্রপতি শাসন।
সূত্র বলছে, আগামী সপ্তাহে জম্মু-কাশ্মিরের নতুন মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিতে পারেন ওমর আবদুল্লাহ।
এর আগে ২০১৪ সালে জম্মু-কাশ্মিরের রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন হয়। মেহবুবা মুফতির দল পিডিপি ও বিজেপি জোট বেঁধে জম্মু এবং কাশ্মিরের সরকার তৈরি করে। কিন্তু একাধিক ইস্যুতে দু’দলের মধ্যে সংঘাত তৈরি হয়। এই অবস্থায় ২০১৮ সালে বিজেপি তার সমর্থন প্রত্যাহার করে নেয় সে রাজ্য থেকে। এরপরেই জোট সরকার পড়ে যায় এবং মেহবুবা মুফতি মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেন। এরপর থেকে জম্মু ও কাশ্মিরে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করা হয়।
রাষ্ট্রপতি শাসনের মধ্যেই ধারা ৩৭০ প্রত্যাহার করে মোদি সরকার। যা নিয়ে একেবারে উত্তাল হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। এ সময় রাষ্ট্রপতি শাসন তুলে নেয়ার দাবি উঠলেও কোনো পদক্ষেপ নেয়নি ভারত সরকার। অবশেষে এবার নির্বাচনের ফল ঘোষণার পরেই রাষ্ট্রপতি শাসন তুলে নেয়ার নির্দেশিকা জারি করা হলো।