ইসরায়েলে ১৮০টিরও বেশি ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা করে ইরান। এরপর থেকে পাল্টা হামলার ঝুঁকিতে তেহরান। ধারণা করা হচ্ছে, ইসরায়েলের যে কোনো প্রতিশোধমূলক হামলা হবে অত্যান্ত ভয়ংকর। এমন আশঙ্কায় উদ্বিগ্ন রাশিয়াও।
রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা তাসের বরাতে আলজাজিরার বৃহস্পতিবারের (১৭ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় কোনো হামলা হলে তা মানবে না রাশিয়া। এ ধরনের কাজ থেকে বিরত থাকতে ইসরায়েলকে সতর্ক করেছে রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
এ বিষয়ে এক বিবৃতিতে রাশিয়ার উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই রিয়াবকভ বলেন, ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় ইসরায়েলের যে কোনো হামলার বিরুদ্ধে রাশিয়া সতর্ক বার্তা দিচ্ছে। যদি তা করা হয় তবে এটি হবে বিপর্যয়কর। হামলার কল্পনা চলছে বলেও ইঙ্গিত দেন তিনি।
রিয়াবকভ আরও বলেন, আমরা বারবার সতর্ক করেছি। এখনো সতর্ক করছি। ইরানের পারমাণবিক স্থাপনা এবং পারমাণবিক অবকাঠামোর ওপর হামলার আশঙ্কাকে অনুমানমূলকভাবে বিবেচনা করার বিরুদ্ধেও রাশিয়া। আমরা ইসরায়েলকে সতর্ক করে যাচ্ছি। কারণ, এটি একটি বিপর্যয়মূলক পদক্ষেপ হবে। পারমাণবিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার বিদ্যমান যে প্রচেষ্টা তা ইসরায়েলের কাজকে কোনোভাবেই সমর্থন করবে না। তারা প্রত্যাখ্যাত হবে।
এদিকে সময় গড়াচ্ছে ইরানে হামলার আশঙ্কা প্রবল হচ্ছে। তবে ইসরায়েলি কর্মকর্তারা এখনো ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার জবাব দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়ে দ্বিধান্বিত। এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলো ইসরায়েলকে শান্ত রাখতে চাইছে।
এদিকে লেবাননে হামলা জারি রেখেছে নেতানিয়াহুর বাহিনী। সর্বশেষ খবর অনুযায়ী, দক্ষিণ লেবাননের লাবোউনে নিজেদের পতাকা উত্তোলন করেছে ইহুদি সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ ইসরায়েলের সেনারা। সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা বলছে, একটি স্মৃতিস্তম্ভে এই ঘটনা ঘটনানো হয়, যেটি ২০০৬ সালে ইসরায়েল ও হিজবুল্লাহর মধ্যে সংঘটিত যুদ্ধের সমাপ্তির স্মারক হিসেবে স্থাপন করা হয়েছিল।
প্রতিবেদনে বলা হয়— লাবোউনে গ্রামটি ইসরায়েল-লেবানন সীমান্তের কাছে অবস্থিত। যেখানে বহু বছর ধরেই উত্তেজনা বিরাজ করছে। এই এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে হিজবুল্লাহর প্রভাব বিদ্যমান এবং ২০০৬ সালের যুদ্ধের পরও এখানে মাঝেমধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এমন একটি এলাকায় ইসরায়েলি পতাকা উত্তোলন করার ঘটনা নতুন করে উত্তেজনার সৃষ্টি করেছে।
ভিডিওতে পতাকা উত্তোলনের সময় ইসরায়েলি সেনাদের উল্লাস ও উদযাপন করতে দেখা গেছে। ওই ফুটেজে এক সেনা হাত মুঠো করে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন এবং পতাকা উত্তোলনকে উদযাপন করেন। এর মাধ্যমে ইসরায়েলি সেনারা হয়তো প্রতীকীভাবে তাদের উপস্থিতি এবং শক্তির জানান দিতে চেয়েছে।