জাতীয়তাবাদী যুবদলের সাবেক সহ-সভাপতি ও ঢাকা-১৮ আসনের বিএনপির সাবেক প্রার্থী এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন বলেছেন, ছাত্র-জনতার স্বতঃস্ফূর্ত গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে স্বৈরাচার শেখ হাসিনা দেশ থেকে পালিয়ে গেলেও বিদেশে বসে দেশের বিরুদ্ধে যড়যন্ত্র ও নৈরাজ্য সৃষ্টির চেষ্টা করছেন।
তিনি বলেন, দেশের বিরুদ্ধে যড়যন্ত্র করে কোনো লাভ হবে না। বাংলাদেশের জনগণ বোঝে, ষড়যন্ত্রের হোতা কে? অবিলম্বে স্বৈরাচারী শেখ হাসিনাকে দেশে এনে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে।
শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) দুপুরে ডেঙ্গু সচেতনতায় দলের ঘোষিত ধারাবাহিক ১০ দিনের প্রচার কর্মসূচির তৃতীয় দিনে উত্তরা রাজউক কলেজ থেকে শুরু হয়ে রাজলক্ষ্মী পর্যন্ত র্যালি, গণসংযোগ ও জনসাধারণের মাঝে লিফলেট বিতরণ শেষে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে এসএম জাহাঙ্গীর এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বিগত ফ্যাসিস্ট রেজিমের সময়ে বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে হাজার হাজার মামলা হয়েছে, হামলা হয়েছে। আমাদের নেতাকর্মীদের গণগ্রেপ্তার, গুম ও খুন করা হয়েছে। তারপরও বিএনপির একজন নেতাকর্মীকেও দলের কর্মকাণ্ড থেকে তারা সরাতে পারেনি। দলের প্রতিটি নেতাকর্মী গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের লড়াইয়ে জীবনবাজি রেখে কাজ করে গেছেন। দেশের গণতন্ত্র, বাক-স্বাধীনতা ও ভোটাধিকার নিশ্চিত করার লড়াই-সংগ্রামে দলের সব পর্যায়ের নেতাকর্মীদের সক্রিয় অংশগ্রহণ ছিল।
এসএম জাহাঙ্গীর বলেন, গত ১৭ বছরের স্বৈরাচার আওয়ামী সরকার যেভাবে এ দেশের মানুষের উপর জুলুম-নির্যাতন-নিপীড়ন-অত্যাচার এবং হত্যা-গুম-খুন চালিয়েছে, তার অবসান ঘটেছে ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনের মাধ্যমে। এ দেশের মাটিতে আর কোনো দিন এ রকম স্বৈরাচারের স্থান হবে না। আমরা আর কোনো নতুন স্বৈরাচার দেখতে চাই না।
তিনি বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে দলের নেতাকর্মীরা সব সংকট ও দুর্যোগে ঝাঁপিয়ে পড়ছে। তারই ধারাবাহিকতায় ডেঙ্গুর প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় তারেক রহমানের নেতৃত্বে আমরা জনগণকে সচেতন করছি। এই সচেতনতা কার্যক্রমে প্রচার দল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
এছাড়া ছাত্রদলের সহ-সভাপতি ডা. আউয়াল লিফলেট বিতরণ কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করেন ও বক্তব্য দেন।
জাতীয়তাবাদী প্রচার দলের সভাপতি মাহফুজ কবির মুক্তার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আকবর হোসেনের সঞ্চালনায় এ সময় উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সিনিয়র সহ-সভাপতি আল আমিন খান, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ওয়াকিদুজ্জামান ডাবলু, সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক মো. রুহুল আমিন, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, সহ-অর্থ বিষয়ক সম্পাদক কামাল উদ্দিন আহমদ, কেন্দ্রীয় নেতা শামীম রেজা, রাশেদুল ইসলামসহ উত্তরখান থানা, খিলক্ষেত থানা, তুরাগ থানা, দক্ষিণখান থানা বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা।