লেবাননে স্থল অভিযান শুরু করেছে ইসরায়েল। এরপর একের পর এক সেনা হতাহত হয়েছে ইসরায়েলে। তবে এবার তারা জানিয়েছে, লেবানের প্রতিরোধ যোদ্ধা হিজবুল্লাহর ১৫০০ যোদ্ধাকে হত্যা করা হয়েছে।
শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলে ইসরায়েলি বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষ অব্যাহত রয়েছে। সংঘর্ষ জোরদার হওয়ার পর হিজবুল্লাহর ১৫০০ সেনা হত্যা করার দাবি করেছে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী।
ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) প্রধান জেনারেল হার্জে হালেভি বলেন, আমরা যতটা শক্তি দিয়ে সম্ভব হিজবুল্লাহর ওপর হামলা চালাব। আমরা তাদের কমান্ডারদের হত্যা করেছি। আপনারা তাদের অবকাঠামো ধ্বংস করছেন।
তিনি বলেন, হিজবুল্লাহ প্রতিনিয়ত আরও ডুবছে। তারা হতাহতের সংখ্যা লুকাচ্ছে। কমান্ডারদের মৃত্যুর তথ্য লুকাচ্ছে। আমাদের ধারণা, আমরা তাদের এক হাজার ৫০০ সেনা হত্যা করেছি। আরর কয়েক ডজন হামলার ফলাফলের তথ্য আমরা কল্পনা করছি।
বিবিসির এক বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, সর্বাত্মক যুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে মধ্যপ্রাচ্য। গত এক বছরে বিশ্বে অনেক বিপদের মুহূর্ত এসেছে। তবে এবারেরটি সবচেয়ে ভয়াবহ। গত কয়েক দিন আগে লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর নেতা হাসান নাসরুল্লাহ নিহত হয়েছেন। এরপর লেবাননে স্থল হামলা শুরু করেছে ইসরায়েল। জবাবে ইরান ইসরায়েলে প্রায় ২০০ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা করেছে। এরপর তেহরানে পাল্টা হামলা চালানোর ঘোষণা দিয়েছে তেলআবিব। তারপর থেকে হামলা পাল্টা হামলা অব্যাহত রয়েছে।
হিজবুল্লাহর প্রধান হাসান নাসরুল্লাহকে হত্যায় লেবাননের বৈরুতে গত ২৭ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় ইসরায়েল বোমা হামলা চালায়। সেখানে ব্যাপক বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। অনেক আবাসিক ভবন ধসে পড়ে। মাটিতে বড় গর্ত সৃষ্টি হয়। আকাশ ধুলাবালি ও ধোঁয়ায় ভরে ওঠে। পুরো লেবানন থেকে ওই দৃশ্য দেখা যায়। এ হামলা হয় মাটির নিচে থাকা হিজবুল্লাহর বাংকার লক্ষ্য করে। এ হামলায় নিহত হন হিজবুল্লাহ নেতা হাসান নাসরুল্লাহ। ইসরায়েলের এক সপ্তাহ ধরে চালানো হামলায় ৫০০ জনের বেশি মানুষ নিহত হওয়ার পর নাসরুল্লাহর মৃত্যুর খবর আসে।
তারও এক সপ্তাহ আগে এই সশস্ত্র গোষ্ঠীটিকে লক্ষ্য করে পর পর অসংখ্য ওয়াকিটকি এবং পেজার বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। এতে কমপক্ষে ৩২ জন নিহত এবং তিন হাজার জনের বেশি মানুষ আহত হয়েছিল।