28 C
Dhaka
Sunday, September 29, 2024

কেন ইরানের বিরুদ্ধে দাঁড়াল সিরিয়া?

মধ্যপ্রাচ্যের রাজনীতিতে পরিবর্তনের হাওয়া বইছে। এক সময় আরব বসন্তও যাদের টলাতে পারেনি, আজ তারাই শক্তি-সামর্থ্য নিয়ে দৃশ্যপটে হাজির হয়েছেন। বদলে দিচ্ছেন মধ্যপ্রাচ্যের রাজনৈতিক মানচিত্র।

বন্ধু থেকে শত্রু, শত্রু থেকে বন্ধু, দাবার ছকের এই খেলায় এবার নতুন চাল দিয়েছে সিরিয়া। প্রায় এক যুগ ব্যাকফুটে থাকার পর বাশার আল আসাদের এমন প্রত্যাবর্তন, নিঃসন্দেহে মধ্যপ্রাচ্যের সব সমীকরণ বদলে দেবে।

পুরো বিশ্ব যখন, বাশার আল আসাদের হাত ছেড়ে দিয়েছিল, তখন মধ্যপ্রাচ্যে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিল ইরান। কিন্তু সেই ইরানকেই এবার ধরাশায়ী করতে উঠে পড়ে লেগেছে সিরিয়া।

আরো পড়ুন  বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী মংডুর বাসিন্দাদের সরে যাওয়ার আহ্বান

দামেস্ক ও তেহরানের কৌশলগত সম্পর্ক কয়েক দশকের পুরোনো। ১৯৮০-১৯৮৮ সাল পর্যন্ত হওয়া ইরান-ইরাক যুদ্ধে তেহরানের পাশে দাঁড়িয়েছিল সিরিয়া। পাল্টা ইরানও সেই ২০১১ সাল থেকে সিরিয়াকে মিলিশিয়া ও কাড়ি কাড়ি ডলার দিয়ে গৃহযুদ্ধে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে।

কিন্তু সম্প্রতি এ সম্পর্কে যেন ছেদ পড়েছে। ইরাকভিত্তিক ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক পল ইদ্দন নিউ আরবে এক নিবন্ধে দামেস্ক-তেহরানের সম্পর্কে এমন টানাপড়েনের কারণ বিশ্লেষণ করেছেন। গেল মাসে বাহরাইনে আরব লিগের সামিট অনুষ্ঠিত হয়।

সেখানে আবু মুসা, লেসার তুনব, গ্রেটার তুনব এই তিন দ্বীপের ওপর আমিরাতের সার্বভৌমত্বের ঘোষণায় সমর্থন জানায় সিরিয়া। ১৯৭১ সাল থেকে এই দ্বীপগুলোর মালিকানা এবং নিয়ন্ত্রণ ইরানের হাতে রয়েছে। এই দ্বীপগুলোর মালিকানা আমিরাতও দাবি করে থাকে।

আরো পড়ুন  সৌদি যুবরাজের স্বপ্নের বলি ফিলিস্তিনিরা?

আরব লিগের ডিক্লারেশন নতুন কিছু নয়। তবে এবার ব্যতিক্রম ঘটনা হচ্ছে, সিরিয়ার এমন সমর্থনে ইরানে অসন্তোষ তৈরি হয়েছে। নিজ দেশের মানুষের ওপর নির্মমতার কারণে ১৩ বছর বহিষ্কৃত থাকার পর গেল বছরের মে মাসে সিরিয়াকে আবারও আরব লিগে ফিরিয়ে আনা হয়।

এক যুগের বেশি সময় ধরে চলা এই গৃহযুদ্ধে ইরানের সমর্থন এবং রাশিয়ার সামরিক হস্তক্ষেপ না থাকলে ক্ষমতায়ই থাকতে পারতেন না বাশার আল আসাদ। অথচ সেই সিরিয়াই এখন সাপ হয়ে ইরানকে ছোবল দিচ্ছে।

আরো পড়ুন  ভারতে ধর্মীয় উৎসবে লাশের সারি, এত মানুষের মৃত্যু কীভাবে?

সিরিয়া এমন অবস্থানের পর ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম দামেস্কের সমালোচনা করেছে। তবে এত কিছুর পরও তেহরানের সঙ্গে দামেস্কের সম্পর্কে ভাটা পড়ার সম্ভাবনা দেখছেন না আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা।

রিস্ক ইন্টিলিজেন্স কোম্পানি রেন-এর মিডল ইস্ট অ্যান্ড নর্থ আফ্রিকাবিষয়ক একজন সিনিয়র অ্যানালিস্ট রায়ান বোহল বলেছেন, আরব লিগে সিরিয়ার প্রভাব খুব একটা নেই, তাই আমিরাতের হাত ধরলেও তা দামেস্ক-তেহরান সম্পর্কে ক্ষতির কারণ হবে না। আর সেটা খুব ভালো করেই জানেন বাশার আল আসাদ।

সর্বশেষ সংবাদ