মানবাধিকার কর্মী, বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী, আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক)-এর চেয়ারপার্সন জেডআই খান পান্নার বিরুদ্ধে মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলায় আসক নিন্দা জানিয়েছে।
রোববার (২০ অক্টোবর) আসকের সিনিয়র সমন্বয়ক আবু আহমেদ ফরজুল কবির স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, জেডআই খান পান্না আসকের চেয়ারপার্সন হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শুরু থেকেই ছাত্রদের ন্যায়সংগত দাবি এবং তাদের নেতাদের আটকের ঘটনায় আইনি লড়াইতে সম্পৃক্ত ছিলেন। তিনি সব সময় নীতি এবং আদর্শের জায়গায় সরব ছিলেন।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, গত ১৯ জুলাই সংঘটিত একটি ঘটনায় সংক্ষুব্ধ এক ব্যক্তি ১৭ অক্টোবর হত্যা চেষ্টার অভিযোগ এনে ১৮০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। এর মধ্যে মানবাধিকার কর্মী জেডআই খান পান্নার নাম উল্লেখ রয়েছে। অথচ জেডআই খান পান্না বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শুরু থেকেই ছাত্রদের ন্যায়সঙ্গত দাবি এবং তাদের নেতাদের আটকের ঘটনায় আইনি লড়াইতে সম্পৃক্ত ছিলেন। আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) মনে করে, মানবাধিকার বিষয়ে এবং বর্তমান প্রেক্ষাপট সংশ্লিষ্ট জেডআই খান পান্নার আলোচনা, মতামত ও বক্তব্য সংক্রান্ত তার কোনো ভূমিকায় কোনো পক্ষের অসন্তুষ্টি থেকে এ ধরনের মামলা দায়ের হয়ে থাকতে পারে বলে মনে করে। সে সঙ্গে মামলাটি হয়রানিমূলক বলেও প্রতীয়মান হয়। সেটাই হয়ে থাকলে তা অত্যন্ত অনাকাঙ্ক্ষিত, অপ্রত্যাশিত এবং নিন্দনীয়।
এতে বলা হয়, মানবাধিকার কর্মী জেডআই খান পান্না জীবনভর মানুষের অধিকারের কথা বলেছেন। সাধারণ মানুষের মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় তিনি নিরলস চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। কখনো তিনি ক্রসফায়ার, গুম, নির্যাতনের বিরুদ্ধে বলতে গিয়ে কোনো পক্ষের অসন্তষ্টিতে পড়েছেন। আবার মত প্রকাশের স্বাধীনতা, ধর্মীয় জাতিগত সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর অধিকার নিয়ে কাজ করতে বিশেষ কোনো পক্ষের অসন্তুষ্টিতে পড়েছেন। জেডআই খান পান্নার লড়াইটা প্রকৃত অর্থে বঞ্চিত জনগোষ্ঠীর জন্য।
সাধারণ মানুষের ন্যায়বিচারপ্রাপ্তি আর তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় এক অগ্রসৈনিক হিসেবেই তিনি দেশের মানুষের কাছে সমাদৃত। তিনি সব সরকারের আমলেই অন্যায়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন এবং আছেন। তার সংগ্রাম এ দেশের মানুষের রাজনৈতিক ও নাগরিক অধিকার প্রতিষ্ঠার সুযোগ সৃষ্টি করে যাবে নিঃসন্দেহে।