চট্টগ্রামের চন্দনাইশে বন কর্মকর্তাসহ পাঁচজনকে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় করা মামলায় দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
রোববার (২০ অক্টোবর) রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
আসামিরা হলেন- উপজেলার দোহাজারী পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের রহমত আলীর ছেলে এনাম হোসেন ও একই এলাকার মো. ইমন।
চন্দনাইশ থানার ওসি হোসাইন আল ইমরান কালবেলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, অভিযান চালিয়ে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আসামিদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) রাতে উপজেলার বরগুনি বিটের হাফছড়ি কুল এলাকায় বনদস্যুরা সংরক্ষিত বনের গাছ চুরি করে পাচার করার সময় পটিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা এমদাদুল হকের নেতৃত্বে ১৮ জনের একটি দল অভিযান পরিচালনা করে। তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছলে বনদস্যুরা অতর্কিত হামলা করে হত্যার উদ্দেশ্যে দা দিয়ে কুপিয়ে রেঞ্জ কর্মকর্তা এমদাদুল হক ও প্রহরী লোকমানসহ পাঁচজনকে গুরুতর আহত করে। রেঞ্জ কর্মকর্তা এমদাদুল হক ও প্রহরী লোকমানের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
এ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট বিট কর্মকর্তা রহমত আলী বাদী হয়ে ১৬ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতপরিচয় ৫০/৬০ জনকে আসামি করে চন্দনাইশ থানায় মামলা করেন।
উল্লেখ্য, গত ৩০ মার্চ রাত সাড়ে ৩টার দিকে কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার রাজাপালং ইউনিয়নের হরিণমারা এলাকায় পাহাড় কেটে মাটি পাচার করছিল একদল মাটিখেকো সন্ত্রাসী। এমন খবরে বন বিভাগের দোছড়ি বিটের কর্মকর্তা মো. সাজ্জাদুজ্জামানসহ দুজন মোটরসাইকেলে ঘটনাস্থলে যান। এ সময় দুজনকে ডাম্প ট্রাক দিয়ে চাপা দেওয়া হয়। এতে সাজ্জাদুজ্জামান ঘটনাস্থলেই মারা যান। গুরুতর আহত হন মোহাম্মদ আলী নামে আরেকজন।
সাজ্জাদুজ্জামান কক্সবাজার দক্ষিণ বনবিভাগের উখিয়া রেঞ্জের দোছড়ি বন বিটের কর্মকর্তার দায়িত্বে ছিলেন। তিনি মুন্সীগঞ্জ জেলার গজারিয়া উপজেলার মোহাম্মদ শাহজাহানের ছেলে। এ ঘটনায় আহত বনরক্ষী মোহাম্মদ আলী টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের ঝিমংখালী এলাকার বাসিন্দা।