সংগীতশিল্পী আরফিন রুমি সাধারণত নিজের সুরে গান করেন। অডিও আর সিনেমা মিলিয়ে তিন-চারবার করে এর ব্যতিক্রম ঘটেছে। এবার অন্যের সুরে নাটকের জন্য গান গাইলেন তিনি। এর শিরোনাম ‘প্রাণসখিয়া’। এতে তার সঙ্গে কণ্ঠ দিয়েছেন পল্লবী রায়।
‘সন্ধিক্ষণ’ নামের একটি নাটকের জন্য তৈরি হয়েছে গানটি। মুহাম্মদ মোস্তফা কামাল রাজের রচনা ও পরিচালনায় এতে অভিনয় করেছেন ফারহান আহমেদ জোভান ও মালাইকা চৌধুরী। নাটকটির মাধ্যমে অভিনেত্রী মেহজাবীন চৌধুরীর ছোট বোন মালাইকার অভিষেক হচ্ছে অভিনয়ে। ‘সন্ধিক্ষণ’ গল্পটি মেহজাবীনের।
অন্যের সুরে নাটকের গান গাওয়া প্রসঙ্গে আরফিন রুমি বলেন, ‘মুহাম্মদ মোস্তফা কামাল রাজের নাটক বলেই এই কাজ করতে রাজি হওয়া। আমার ওপর তার অধিকার আছে। গলা অনুযায়ী তিনি গানটিতে আমাকে কণ্ঠশিল্পী হিসেবে নির্বাচন করেছেন। আমাদের মধ্যকার সম্পর্ক অন্যরকম। তাকে ধন্যবাদ দেবো না। এর দরকারও নেই! তিনি আমার অন্তরেই আছেন। ‘প্রাণসখিয়া’ অনেক সুন্দর একটি গান। এর লেখা ও সুর দারুণ। নতুন প্রজন্মের সুরকার নাভেদ পারভেজ ও গায়িকা পল্লবী রায়ের সঙ্গে আমার এই সম্মিলন শ্রোতাদের ভালো লাগবে আশা করি।’
‘প্রাণসখিয়া’ গানের কথা লিখেছেন ওয়াসিক সৈকত। সুর ও সংগীত পরিচালনা করেছেন নাভেদ পারভেজ। তিনি বর্তমানে বাংলাদেশে। নাভেদ বলেন, ‘সুর করার পরই মনে হয়েছে এই গানে আরফিন রুমির কণ্ঠ মানাবে। তবে তিনি সাধারণত অন্যের সুরে গান করেন না। কিন্তু রাজ ভাইয়ের সুবাদে এটা সম্ভব হয়েছে। আর পল্লবী রায় আমার সুর করা বেশ কিছু গান আগে গেয়েছে। সেগুলো শ্রোতাপ্রিয়তা পেয়েছে। আশা করি, নতুন গানটি সবশ্রেণির শ্রোতার মন জয় করবে।’
মুহাম্মদ মোস্তফা কামাল রাজের ‘ছায়া-ছবি’ এবং ‘তারকাঁটা’র সব গানের সুর ও সংগীত পরিচালনা আরফিন রুমির। এছাড়া ‘সম্রাট’ সিনেমার জন্য দুটি গান করেছেন তিনি। সর্বশেষ ২০১৮ সালে মোস্তাফিজুর রহমান মানিক পরিচালিত ‘জান্নাত’ সিনেমার সব গানের সুর ও সংগীত পরিচালনা করেছেন আরফিন রুমি। এছাড়া এসব গানে কণ্ঠ দিয়েছেন তিনি।
মুহাম্মদ মোস্তফা কামাল রাজের সর্বশেষ সিনেমা ‘ওমর’-এ সোমেশ্বর অলির কথা ও স্যাভির সুর-সংগীতে ‘রব জানে’ গানে কণ্ঠ দেন আরফিন রুমি। বড় পর্দার জন্য অন্যের সুরে গাওয়া তার গানের তালিকায় আরও আছে ‘এই তো প্রেম’ সিনেমায় হাবিব ওয়াহিদের সুর-সংগীতে ‘হৃদয়ে আমার বাংলাদেশ’, ‘কুসুমপুরের গল্প’তে ফেরদৌস ওয়াহিদের সুরে ‘ঝলমল জলসা’ এবং ‘নদীর বুকে চাঁদ’ সিনেমায় শওকাতের সুর-সংগীতে ‘ও প্রিয়তমা’।