গাজায় দীর্ঘদিন ধরে চলছে ইসরায়েলের সংঘাত। এই সংঘাতকে ঘিরে সারা বিশ্বেই উত্তেজনা চলমান। তবে ভয়ংকর এ যুদ্ধ নিয়ে এবার এক নতুন বিতর্কের সৃষ্টি করলেন এক গবেষক ও লেখক।
জানা যায়, গাজায় চলমান মানবিক বিপর্যয়ের বিষয়ে তুর্কি গবেষক ও লেখক হায়াতি সির সম্প্রতি মুখ খুলেছেন। তিনি দাবি করেছেন, ইসরায়েলের গাজা যুদ্ধের আসল লক্ষ্য তুরস্ক এবং বিশেষভাবে ইস্তাম্বুল। এ ছাড়া ইসরায়েলি সরকারের ‘গোপন পরিকল্পনা’ সম্পর্কে কিছু বিতর্কিত এবং অনুমানমূলক মতামতও প্রকাশ করেছেন এই লেখক।
হায়াতি দাবি করেন, ইহুদিরা ‘প্রতিশ্রুত ভূমি’ প্রতিষ্ঠার জন্য বহু বছর ধরে প্রস্তুতি নিচ্ছে এবং গ্রেটার ইসরায়েল প্রতিষ্ঠার দিকে ধাপে ধাপে এগিয়ে যাচ্ছে। তার মতে, এই যুদ্ধের প্রকৃত লক্ষ্য মূলত তুরস্ক। তুর্কি এই গবেষক জানান, ইসরায়েল শুধু গাজা দখল করছে না, বরং বিশ্বের সব সরকারকেই তাদের নিয়ন্ত্রণে আনছে।
হায়াতি আরও দাবি করে জানান, ইসরায়েলের বর্তমান পরিকল্পনা থিওডর হার্জলের ডায়েরিতেই লেখা রয়েছে। তারা আসলে ইসরায়েলের বহু বছরের সেই কৌশল সম্পর্কে অবহেলা করে যাচ্ছেন। এ বিষয়ে তিনি সবাইকে সতর্ক করে জানান- সামরিক, কূটনৈতিক, রাজনৈতিক এবং গোয়েন্দা পর্যায়ে একটি গুরুতর প্রস্তুতি প্রক্রিয়া শুরু করা উচিত ছিল, কিন্তু তা এখনও হয়নি।
হায়াতি দাবি করে বলেন, ইসরায়েলকে সমর্থনকারী শক্তিগুলো—যেমন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ এবং ইরান ও রাশিয়া- সবই ‘মেসিয়ানিক কোয়ালিশনের’ অংশ এবং তারা তুরস্কের বিরুদ্ধে একত্রে কাজ করবে। যদিও ইরান এবং ইসরায়েলের মধ্যে আপাতত একটি বিরোধ চলছে যা মূলত আল-আকসা মসজিদকে কেন্দ্র করে, তবে সবারই আসল লক্ষ্য হলো ইস্তাম্বুল।
তুর্কি এই গবেষক দাবি করেন, ইস্তাম্বুলের অধীনে প্রাচীন গোপন সমাজগুলোর কার্যক্রম রয়েছে এবং তারা এখানে এখনো তাদের অনুষ্ঠান পরিচালনা করে। ইস্তাম্বুলের পবিত্র রক্ষাকারীদের জন্যই এই শহরটি এখনো সুরক্ষিত আছে। তিনি জানান, ইসরায়েল যদি ইস্তাম্বুলের আধ্যাত্মিক সুরক্ষা ভেঙে দিতে না পারে, তবে তারা আল-আকসা মসজিদকে ধ্বংস করতে পারবে না।
হায়াতির আহ্বান করে জানান, ডিজিটাল বিশ্ব তার সব অস্ত্র নিয়ে তাদের চারপাশে ঘুরে বেড়াচ্ছে, তাই এখনই তাদের মানবতা রক্ষা করতে এবং প্রতিরোধ করতে জেগে উঠতে হবে।