ডেমোক্রেটিক দলের প্রার্থী কমলা হ্যারিস ভোটের রাতে জনসম্মুখে ভাষণ দেবেন না। তিনি নেতাদের নিয়ে ভোট গণনা পর্যবেক্ষণ করবেন। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) হ্যারিসের প্রচার শিবির থেকে এ ঘোষণা এসেছে।
তার প্রচার শিবিরের সহ-সভাপতি সেড্রিক রিচমন্ড বলেছেন, ভাইস-প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস নির্বাচনী রাতে কোনো কর্মসূচি পালন করবেন না। যারা সমাবেশের আশায় দলের কার্যালয়ের সামনে সমবেত হয়েছেন তাদের আশা বাদ দিতে হবে। কারণ, আজ জনতার উদ্দেশে কমলা হ্যারিস কোনো বলবেন না।
তিনি বলেন, ‘আমাদের এখনও ভোট গণনা করা বাকি আছে। আমাদের এখনও এমন রাজ্য রয়েছে যেগুলোর ফল এখনও নিশ্চিত নয়। আমরা রাতেও লড়াই চালিয়ে যাব। যাতে প্রতিটি ভোট গণনা হয়। প্রতিটি কণ্ঠস্বর যাতে নিশ্চিত করা হয়। সুতরাং আপনি (সমর্থক) আজ রাতে ভাইস-প্রেসিডেন্টের কাছ থেকে ভাষণ শুনতে পাবেন না। তবে আগামীকাল তিনি ভাষণ দেবেন।’
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে কয়েকটি রাজ্যে ভোটগ্রহণ শুরু হয় মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) স্থানীয় সময় ভোর ৬টায়। এরপর ধাপে ধাপে সব রাজ্যে শুরু হয়। দেশটিতে রাজ্যভেদে সময়ের ব্যবধান এবং একেক রাজ্যে একেক সময় ভোটগ্রহণ শুরুর সময় নির্ধারিত থাকায় শেষের সময়েও পার্থক্য হয়েছে। ঠিক এ কারণেই কিছু রাজ্যে ভোট গণনা দেরি হচ্ছে।
দেশটিতে মোট ৫০টি অঙ্গরাজ্যে ৫৩৮টি ইলেকটোরাল কলেজ ভোট রয়েছে। জিততে হলে ২৭০টি ইলেকটোরাল কলেজ ভোট পেতে হবে। নির্বাচনের জয়–পরাজয় নির্ধারণে বড় ভূমিকা রাখে দোদুল্যমান ৭টি অঙ্গরাজ্য। সেগুলো কোনো দলের সুনির্দিষ্ট ঘাঁটি নয়। এসব অঙ্গরাজ্য হলো—নর্থ ক্যারোলাইনা, জর্জিয়া, পেনসিলভানিয়া, মিশিগান, উইসকনসিন, অ্যারিজোনা ও নেভাদা। নির্বাচন পর্যবেক্ষকরা এসব রাজ্যের দিকেই তাকিয়ে রয়েছেন। বাকি রাজ্যগুলো রিপাবলিকান বা ডেমোক্রেটিক দলের ঘাঁটি। সেসবে ধারাবাহিকভাবে নির্দিষ্ট একটি দলই জিতে আসছে।
এর মধ্যে নর্থ ক্যারোলাইনা, জর্জিয়ায় জয় নিশ্চিত করেছেন ট্রাম্প। সর্বশেষ খবর অনুযায়ী তিনি ২৬৭টি এবং কমলা হ্যারিস ২২৬টি ইলেকটোরাল ভোট পেয়েছেন।