কিশোরগঞ্জের ভৈরবে মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে দুপক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে অর্ধশতাধিক লোক আহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার (৭ মে) সন্ধ্যার দিকে উপজেলার আগানগর ইউনিয়নের আনন্দ বাজারে আগানগর গ্রামের দক্ষিণপাড়া এলাকার সরুল্লা বাড়ি ও উত্তরপাড়া এলাকার আফিল উদ্দিন মিয়ার বাড়ি ও ব্যাপারি বাড়ির লোকজনের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, জিল্লুর রহমান স্কুল অ্যান্ড কলেজের ম্যানেজিং কমিটি নিয়ে ও বাজারে নিজেদের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এ সংঘর্ষ হয়।
খবর পেয়ে ভৈরব থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের ৫০ জন আহত হন।
জানা যায়, উপজেলার আগানগর গ্রামের দক্ষিণ পাড়া এলাকার সরুল্লা বাড়ি ও উত্তর পাড়া এলাকার আফিল উদ্দিন মিয়ার বাড়ি ও ব্যাপারি বাড়ির লোকজনের মধ্যে দীর্ঘদিন যাবত জিল্লুর রহমান স্কুল অ্যান্ড কলেজের ম্যানেজিং কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্ব চলছে। এ ছাড়া বিদ্যালয়ের পাশে আনন্দ বাজার নামে একটি বাজার রয়েছে। এ বাজারে নিজেদের আধিপত্য বিস্তার নিয়েও দুপক্ষের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে দ্বন্দ্ব চলমান রয়েছে। মঙ্গলবার বিকেলে ড্রেজার পাইপ চুরির বিষয় নিয়ে দুপক্ষের লোকজনের মধ্যে বাগবিতণ্ডা হয়। একই সময় আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীর পক্ষে শুক্কর মিয়া ও বিএনপির বহিষ্কৃত প্রার্থীর পক্ষে আক্কাছ মিয়া এলাকায় নির্বাচনী প্রচারণা চালাচ্ছিলেন। এ সময় এই ২ বংশের লোকজন মুখোমুখি হলে তাদের মধ্যে আবার বাগবিতণ্ডা হয়। পরে এক পর্যায়ে দুপক্ষের লোকজন দা, বল্লম, লাঠি ও ইটপাটকেল নিয়ে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়েন। এতে উভয়পক্ষের ৫০ জন আহত হন।
যদিও ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক রওশন আরা রিপা বলেন, সন্ধ্যা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত বিভিন্নভাবে আহত রোগী আসতে থাকে। ৩০ জন আহত রোগী দেখা হয়েছে। তাদের মধ্যে ৪ জনকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। গুরুতর আহত ৬ জনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এ বিষয়ে ভৈরব থানার ওসি মো. সফিকুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছি। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। দুপক্ষের অভিযোগের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।