রংপুরে ষষ্ঠ শ্রেণি পড়ুয়া এক ছাত্রীকে ধর্ষণের দায়ে এক তরুণকে মৃত্যুদণ্ড ও এক লাখ টাকা জরিমানা করেছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (৯ মে) দুপুরে রংপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালত-২ এর বিচারক মোস্তফা কামাল এ রায় দেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত তরুণের নাম লাবলু মিয়া লয়েট (২০)। তিনি মিঠাপুকুর উপজেলার জাফরপুর গ্রামের মতিয়ার রহমানের ছেলে। রায় ঘোষণার সময় লাবলু আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন।
মামলার বিবরণী ও আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০২১ সালের ১ সেপ্টেম্বর মিঠাপুকুর উপজেলার লাবলু মিয়া ওই তরুণীকে একটি খালি বাড়িতে নিয়ে ধর্ষণ করেন। এ সময় মেয়েটির চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে লাবলু পালিয়ে যান। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী মেয়েটির বাবা ২০২১ সালের ৩ সেপ্টেম্বর মিঠাপুকুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে লাবলু মিয়াকে একমাত্র আসামি করে ধর্ষণ মামলা করেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) রবিউল ইসলাম ২০২১ সালের ১ ডিসেম্বর তদন্ত শেষে একমাত্র আসামি লাবলু মিয়ার নামে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। মামলার পর ৯ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ ও জেরা শেষে আদালত এ রায় দেন।
এদিকে লাবলুর মা ও বাবা ওই তরুণীর বাড়িতে গিয়ে তাকে মেরে ফেলার হুমকিসহ অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকেন। এমনকি ওই স্কুল ছাত্রীর নামে নানা রকম কুৎসা রটাতে থাকেন। একপর্যায়ে মানসিক চাপ সহ্য করতে না পেরে ২০২১ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর রাত ৯টার দিকে বিষপান করে। পরে তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় ওই স্কুলছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগ এনে লাবলুর বাবা মতিয়ার রহমান ও মা লাভলী বেগমকে আসামি করে ৩০ সেপ্টেম্বর আরও একটি মামলা দায়ের করেন। যা এখনও বিচারাধীন।
সরকারপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন রংপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালত-১ এর বিশেষ সরকারি কৌঁসুলি খন্দকার রফিক হাসনাইন।
তিনি বলেন, ১২ বছর বয়সী মেয়েশিশুকে ধর্ষণের দায়ে আসামির মৃত্যুদণ্ডের রায়ে তারা সন্তুষ্ট। দ্রুত রায় কার্যকরের দাবি জানান তিনি।