উপজেলা পরিষদের প্রথম ধাপের নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি প্রমাণ করেছে সরকারের সঙ্গে জনগণ নেই বলে মন্তব্য করেছেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না।
শুক্রবার (১০ মে) দুপুরে এক অবস্থান কর্মসূচিতে নাগরিক ঐক্যের সভাপতি এই মন্তব্য করেন। জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ‘নাগরিক অধিকার আন্দোলনের উদ্যোগে ‘বিদ্যুৎ, জ্বালানি তেল এবং রেলের ভাড়া বৃদ্ধির প্রতিবাদে এবং খালেদা জিয়াসহ রাজবন্দিদের মুক্তির দাবিতে এই অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হয়।
তিনি বলেন, মানুষ সরকারকে ভোট দেয়নি, এখনো দেয় না। এই যে উপজেলা নির্বাচন (প্রথম ধাপ) হয়ে গেল, বাংলাদেশের ইতিহাসের উপজেলায় এত কম ভোট কখনো পড়ে নাই। জনগণ যদি আওয়ামী লীগের সঙ্গে থাকত তাহলে ৭ জানুয়ারি ভোট দিতে যেত, উপজেলা নির্বাচনেও ভোট দিতে যেত।
সরকারের সমালোচনা করে মান্না বলেন, জিনিসের দাম সরকার কমাতে পারছে না। বিদ্যুতের দাম কমাতে পারে না। বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ এখন একশ বিলিয়ন ডলারের বেশি। ঋণের টাকা শোধ করার জন্য আবার বিশেষভাবে অর্থনৈতিক কাউন্সিলের বৈঠক বসায়।
তিনি বলেন, তিন মাস বিদেশ থেকে আমদানি করার টাকা নেই সরকারের কাছে। আমাদের রপ্তানি বৃদ্ধির আর কোনো সুযোগ নাই। বিদেশিরা যদি আমাদের ডলার দেয় তখনই কেবল এই দেশ বাঁচতে পারে, নইলে এদেশ বাঁচতে পারবে না।
মান্না বলেন, বিরোধী দল দুর্বল হয়নি। সরকারের এই দুর্বলতা মানুষ যখন বুঝবে তখন আবার রাজপথে নামবে। জনগণকে বলছি, আপনাদের কষ্ট যদি লাগব করতে চান এই সরকার দিয়ে হবে না। সরকার ভোট কেড়ে নিয়েছে, জিনিসের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে, আপনার মাথায় ঋণের বোঝা বাড়িয়ে দিয়েছে।
সভায় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, বিএনপির চেয়ারপারসন দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলা দিয়ে তাকে সাজা দিয়ে আটক করে রেখেছে। তিনি ভীষণ অসুস্থ। চিকিৎসা পাওয়া তার সাংবিধানিক অধিকার। সেই অধিকার থেকে তাকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। আসলে সরকার আইনের দোহাই দিয়ে বেগম খালেদা জিয়াকে সুচিকিৎসার পথ রুদ্ধ করে রেখেছে।
যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, এই নির্লজ্জ বেহায়া নির্বাচন কমিশনার নির্বাচন দেখার জন্য রাশিয়া যায়। যেখানে নির্বাচনের ন বলতে কিছু নাই। এই কমিশন যখন যেটা মন চায় তারা সেটা বলে। এদের রুখে দিতে হবে।
সংগঠনের সভাপতি মো. জাহাঙ্গীর আলমের সভাপতিত্বে অবস্থান কর্মসূচিতে বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, মাওলানা শাহ নেছারুল হক, জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুল নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।