সাত মাস পেরিয়েছে গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযান। এ অভিযানে প্রাণ হারিয়েছেন কয়েকশ ইসরায়েলি সেনা। এছাড়া আহত হয়েছেন আরও কয়েক হাজার। যদিও এসব বিষয় প্রকাশ্যে শিকার করেনি ইসরায়েলি বাহিনী। তবে এবার গাজায় সেনাদের ভয়াবহ পরিণতির খবর জানিয়েছেন ইসরায়েলের সেনাপ্রধান। সোমবার (১৩ মে) আশরাক আল-আওসাতের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
রোববার (১২ মে) ইসরায়েলের সেনাপ্রধান হার্জি হালেভি বলেন, গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে নজিরবিহীন হামলা করে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামীদের সংগঠন হামাস। তাদের হামলার ফলে ইসরায়েলে যা ঘটেছে তার জন্য তিনি দায়বদ্ধ।
তিনি বলেন, প্রতিদিন আমি এগুলোর ভার আমার কাঁধে অনুভব করি। আমার হৃদয়ও এ ঘটনার তাৎপর্য পুরোপুরি বুঝতে পারে।
সেনাপ্রধান বলেন, আমি সেই কমান্ডার যে আপনাদের ছেলেমেয়েদের যুদ্ধে পাঠিয়েছি। সেখান থেকে তারা এখনো ফিরতে পারেনি। এমন পরিস্থিতির কারণে তারা সেখানে অপহরণেরও শিকার হয়েছে।
গাজায় পারমাণবিক বোমা ফেলতে বললেন মার্কিন সিনেটর
গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে নজিরবিহীন হামলা চালায় হামাস। ফিলিস্তিনি এ গোষ্ঠীর হামলায় ইসরায়েলের প্রায় এক হাজার ২০০ মানুষ নিহত হন। বার্তা সংস্থা এএফপি ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের বরাতে জানিয়েছে, নিহতদের বেশিরভাগ বেসামরিক লোক।
নজিরবিহীন এ হামলার পর দেশটি থেকে প্রায় ২৫০ জন ইসরায়েলি এবং বিদেশিকে অপহরণ করে হামাস। এরপর তাদের গাজায় নিয়ে যাওয়া হয়।
দেশটির তথ্যমতে, হামাসের হাতে এখনো ১২৮ জন জিম্মি রয়েছেন। তাদের মধ্যে ৩৬ জন নিহত হয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। এর মধ্যে সেনাসদস্যরাও রয়েছেন।
অন্যদিকে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যা ৩৫ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। তাদের অধিকাংশ নারী ও শিশু। এ ছাড়া এ পর্যন্ত ৭৭ হাজারের বেশি মানুষ আহত হয়েছে।